সোমেন দত্ত, কোচবিহারঃ
ভোটার লিস্টের হার্ড কপি আর নির্বাচন কমিশনের আপলোড করা লিস্টের মধ্যে অনেক গরমিল! এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর সাফ কথা, “এটাকে চুপি-চুপি কারচুপি বলে। আমরা যেটা সাইলেন্ট ইনভিজিবেল রিগিং বলছি। যাদের কাছে ২০০২ এর ভোটার লিস্টের হার্ড কপি ছিল তাঁরা বিষয়টা ধরে ফেলছেন।”
আরও পড়ুনঃ এই না হলে কলকাতা! ভিজে বইয়ের বইমেলা; সোমবার সকাল এগারোটা থেকে কলেজ স্কোয়ারে
এ নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যেই কোচবিহারের বিভিন্ন বুথ থেকে উঠে আসছে একই ধরনের অভিযোগ। যা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলেও শোরগোল শুরু হয়েছে।
অভিযোগ, কোচবিহারের বিভিন্ন বুথ থেকে ২০০২ সালের তালিকায় থাকা ভোটারদের নাম বাদ গিয়েছে। এই দাবি সামনে রেখেই বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখায় তৃণমূল নেতৃত্বকে। সেখানেই এসআইআর নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ।
আরও পড়ুনঃ পাক-আফগান শান্তি আলোচনা ভেস্তে যেতেই হুঙ্কারের সুর পাক-মন্ত্রীর গলায়
কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের একটি বুথ ও মাথাভাঙার একটি বুথের তালিকা তুলে ধরেন তাঁরা। তাতেই দেখা যাচ্ছে ২০০২ সালে যাঁরা ভোট দিয়েছিল তাঁদের অনেকেই ভোটার তালিকায় নাম নেই।
এখন এসআইআর প্রক্রিয়ার শেষে কোনও ভোটারের নাম যদি বাদ যায় তাহলে বড়সড় আন্দোলন হবে বলে এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে ফের একবার হুঁশিয়ারি দিত দেখা যায় তৃণমূল নেতাদের। এ ঘটনায় বিজেপিরও তুলোধনা করেছেন তাঁরা। সবটাই বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে হচ্ছে বলে তোপ দাগেন। গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, “এই নাম গুলো হঠাৎ কোথায় চলে গেল? কেন নেই? কোন দফতরের কারচুপি? আগে ওদের ২০০২ সালের পূর্ণাঙ্গ তালিকা আগে প্রকাশ করতে হবে।”





