চন্দননগরের শুরু হয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজো। শনিবার রাতে হবে শোভাযাত্রা। চন্দননগর কে বলা হয় আলোর শহর। এই শহরের আলোর শিল্পিরা এখন ব্যস্ত শোভাযাত্রার লাইট নিয়ে। কারণ শোভাযাত্রাতে চলে আলোর ভেলকি।

কোন শিল্পী কত ভালো আলোর জাদু দেখাতে পারে তারই প্রতিযোগিতা চলে। পাশাপাশি শোভাযাত্রার আলো দেখে আগামী এক বছর দেশ তথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হওয়া নানান অনুষ্ঠানে লাইট লাগানোর জন্য তাদের বরাত মিলবে। তাই আলো শিল্পীরা এখন ব্যস্ত সেই শোভাযাত্রার লাইট রেডি করতে।
আরও পড়ুনঃ অন্ধকারের হাতছানি? সকালের উত্তাল বিধানসভায় রাতে কাঁদের আনাগোনা!
থিমের মন্ডপের পাশাপাশি এখন শোভাযাত্রার আলোতেও চলে এসেছে বিভিন্ন ধরনের থিম। এ বছর চন্দননগর বাগবাজার জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির শোভাযাত্রার আলোর থিম মহাকাশ অভিযান। তিনটি গাড়িতে তৈরি করা হয়েছে এই থিমটিকে।
মহাকাশে যাওয়ার জন্য যে সমস্ত ধরনের যানের প্রয়োজন হয় সেই সমস্ত যান গুলোকে লাইটের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
আলোর শিল্পী অসীম দে গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের আলো তৈরি করে সারা ফেলে দিয়েছে। এবছর বাগবাজার সার্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির শোভাযাত্রার আলোর দায়িত্ব নিয়েছেন অসীম বাবু। তিনি এবার চন্দননগরের রাস্তায় নামাচ্ছেন চন্দ্রযান। বিভিন্ন যন্ত্র আলোর মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। সেই সমস্ত আলো গুলিকে তিনটি গাড়িতে লাগানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ এ কি কাণ্ড, না কি অন্য ছক! ভারতমুখী রুশ তেলবাহী জাহাজ ঘুরিয়ে দেওয়া হল মাঝসমুদ্রে
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রা নতুন কিছু নয়। প্রথম দিকে শোভাযাত্রাতে ব্যবহার করা হতো হ্যাজাক। যত দিন গিয়েছে তত আধুনিক হয়েছে শোভাযাত্রার লাইট।

লরির উপর স্ট্রাকচার বেঁধে আলোর কারুকার্য দেখানো যায় তা প্রথম চন্দননগরের বুকে দেখিয়েছিল ১৯৬৮ সালে এই বাগবাজার ক্লাব। এমনটাই দাবি করলেন ক্লাবের এক সদস্য। তিনি বলেন প্রথমে হাওড়ার সালকিয়া থেকে আমরা লাইটেএনে শোভাযাত্রায় লাগাতাম।
পরবর্তী সময়ে চন্দননগরেই তৈরি হতে থাকে বিভিন্ন ধরনের লাইট। আজ সেই শহরকেই বলা হয় আলোর শহর। এই শহরেই রয়েছে একাধিক নামকরা আলোক শিল্পী। যাদের হাত ধরেই বিদেশে চন্দননগরের আলো পাড়ি দিয়েছে।





