Monday, 3 November, 2025
3 November
HomeকলকাতাJadavpur: একযোগে ইস্তফা ৬৫ সিপিআই(এম) সদস্যের, লাল দূর্গে ভাঙনের সুর

Jadavpur: একযোগে ইস্তফা ৬৫ সিপিআই(এম) সদস্যের, লাল দূর্গে ভাঙনের সুর

বিগত কয়েক মাস ধরেই দক্ষিণ যাদবপুর ১ নম্বর এরিয়া কমিটির সম্পাদক রোশন মণ্ডলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমছিল নেতা – কর্মীদের একাংশের।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

যাদবপুরের লাল দূর্গে ভাঙনের সুর, দলীয় নেতৃত্বের উপর ক্ষোভে একযোগে ইস্তফা ৬৫ সিপিআই(এম) সদস্যের।  রাজনীতির ময়দানে যাদবপুর মানেই দীর্ঘদিনের বাম সাফল্য। ক্ষমতা হারিয়েও ধারাবাহিক আন্দোলন ও সংগঠনের উপস্থিতি বজায় রেখে এসেছে বামফ্রন্ট। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রাক্তন নির্বাচনী কেন্দ্র বলেই হোক বা সংগঠনের মজবুত ভিতের কারণেই হোক, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আজও যাদবপুরকে ‘বাম দূর্গ’ হিসেবেই চিহ্নিত করেন। ২০১১ তে পরাজিত হলেও, ভরা তৃণমূল জমানায় ২০১৬ তে সেই আসন উদ্ধার করে সিপিআই(এম)। ২০২১ এ অবশ্য আবারও আসন হাতছাড়া হয়। আর এবার ২০২৬-এর ভোটের আগে সেই দূর্গেই বড় ধাক্কা বাম শিবিরে।

দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বৃহস্পতিবার একযোগে ইস্তফা দিলেন দক্ষিণ যাদবপুর ১ নম্বর এরিয়া কমিটির অধীনস্থ ৬৫ জন সিপিআই(এম) সদস্য। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন এরিয়া কমিটি সদস্যও।

আরও পড়ুনঃ জনপ্রিয় উৎসব হ্যালোউইন; বাঙালির চোদ্দোতম পাব্বন এখন ‘হ্যালোউইন’!

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক মাস ধরেই দক্ষিণ যাদবপুর ১ নম্বর এরিয়া কমিটির সম্পাদক রোশন মণ্ডলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমছিল নেতা – কর্মীদের একাংশের। অভিযোগ, স্বজনপোষণ, স্বেচ্ছাচারিতা ও একনায়কতন্ত্রের ভরসায় সংগঠন চালাচ্ছিলেন এরিয়া কমিটির সম্পাদক। বহু সিদ্ধান্তই নেওয়া হচ্ছিল কাছের গোষ্ঠীভিত্তিক ও একতরফা।

গোটা পর্বে ঘৃতাহুতি হয় এক যুব নেতাকে বহিষ্কারের ঘটনায়। অভিযোগ, ব্যক্তিগত আক্রোশে দলীয় গঠনতন্ত্র না মেনে, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই ওই যুব নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। শুধু তাই নয়, সূত্র বলছে গোটা সিদ্ধান্তে ইন্ধন রয়েছে রাজ্য কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্যের, এমনও অভিযোগও তুলেছেন ক্ষুব্ধ কর্মীরা।

২২ অক্টোবর পার্টির যুব সংগঠনের লোকাল কমিটির সম্মেলনে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। অভিযোগ, নতুন কমিটি গঠনের বৈঠক চলাকালীন এক বর্ষীয়ান নেতা লোহার রড নিয়ে চড়াও হন এক যুব নেতার উপর। ফলে সম্মেলন মঞ্চ মুহূর্তে পরিণত হয় রণক্ষেত্রে।

আরও পড়ুনঃ পুলিশকেও নেই ভয়, জুয়া-মদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে মহানন্দা নদীর চর

এই ঘটনার পরেই অসন্তোষ চরমে ওঠে। ৩০ অক্টোবর দল থেকে একযোগে পদত্যাগ করেন ৬৫ জন সদস্য। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এরিয়া কমিটির সদস্য জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়, কিশোর দাশগুপ্ত ও কৌশিক ঘোষ প্রমুখ।

এরিয়া সম্পাদক রোশন মণ্ডলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। জেলা সম্পাদক রতন বাগচি অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর কাছে এই বিষয়ে কোনও খবর নেই।

একদিকে সংগঠনের পুনরুজ্জীবনের চেষ্টায় বাম নেতৃত্ব যখন ঘাম ঝরাচ্ছে, ঠিক তখনই যাদবপুরের মতো ঐতিহ্যবাহী এলাকায় দলীয় বিভাজন বাম শিবিরের ভাবমূর্তিতে বড় ধাক্কা।

যাদবপুরের মতো লাল দূর্গে এমন স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এবং একযোগে পদত্যাগ, নিঃসন্দেহে ২০২৬-এর ভোটের আগে রেজিমেন্টেড দলের জন্য খুব একটা ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন