জগদ্ধাত্রী পুজোয় প্রতি বছরই চন্দননগরে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। আজ, রবিবার পঞ্চমী। এদিন থেকেই শহরে জনজোয়ার দেখা দেবে বলে মনে করছে পুলিশ-প্রশাসন। নিরাপত্তা ও পরিস্থিতি ঠিক রাখতে এবার আরও আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিসিটিভিতে কার্যত মুড়ে ফেলা হয়েছে প্রাচীন এই শহর। এদিন দুপুরের পর থেকেই শহরে ঢোকার সব রাস্তা গাড়ির জন্য নো এন্ট্রি।
আরও পড়ুনঃ জারি বিজ্ঞপ্তি; গেট বন্ধ রবীন্দ্র সরোবরের! গেট টপকেও আর ঢোকা যাবে না
কালীপুজো মিটতেই চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো শুরুর অপেক্ষা থাকে। প্রতিমা, মণ্ডপসজ্জা, আলোকসজ্জায় বরাবর নজর কাড়ে এই চন্দননগর। প্রতি বছর পুজোর দিনগুলিতে পুলিশের কড়া নজরদারি থাকে শহরে। এবার সেই নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে বলে খবর।
গতকাল চন্দননগর পুলিশের তরফ থেকে এই বিষয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি। পাশাপাশি পুজোর জন্য পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে রুটম্যাপও প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চন্দননগর বা কৃষ্ণনগর নয়, কোচবিহারের মদনমোহন মন্দির জগদ্ধাত্রীর আবাহনের জন্য প্রস্তুত
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ চন্দননগরে পুজোর দিনগুলিতে ভিড় করেন। রেল, সড়ক ও নদীপথে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করেন। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। কেবল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশই নয়, নিরাপত্তার জন্য আশপাশের জেলা থেকেও প্রচুর সংখ্যায় পুলিশ কর্মী এই দিনগুলিতে মোতায়েন থাকছে। এবার ৩০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে শহরে। গত বছরের তুলনায় ক্যামেরার সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে বলে খবর। তৃতীয়া থেকেই পুলিশ-প্রশাসন পথে নেমে নজরদারি শুরু করেছে। পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, আলাদা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা সেখানে নজরদারি চালাবে কমিশনারেটের আধিকারিকরা। শহরের রাস্তায় সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। মহিলা পুলিশ কর্মীরাও থাকছেন রাস্তায়। উইনার্স টিম, পিঙ্ক মোবাইল টিমের মহিলা পুলিশ কর্মীরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় টহল দেবেন।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আজ, রবিবার পঞ্চমীর দুপুর থেকেই শহরে নো এন্ট্রি জারি হচ্ছে। এদিন দুপুর দু’টোর পর থেকে শহরের রাস্তায় কোনও চারচাকা গাড়ি চলবে না। বাইরে থেকে ঢুকবে না কোনও গাড়ি। পুজোর দিনগুলিতে দুপুর দু’টো থেকে পরদিন ভোর চারটে পর্যন্ত এই নো এন্ট্রি কার্যকর থাকবে। শহরে ঢোকার মোট ৪৪টি জায়গায় এই নো এন্ট্রি থাকবে।





