Monday, 3 November, 2025
3 November
HomeদেশECI: রাতেই ‘ফ্রিজ়’ ভোটার তালিকা, বাংলা-সহ ১২ রাজ্যে SIR চালু

ECI: রাতেই ‘ফ্রিজ়’ ভোটার তালিকা, বাংলা-সহ ১২ রাজ্যে SIR চালু

১ মাস ধরে চলবে ভোটার তালিকায় নিবিড় সমীক্ষা। ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার  বিশেষ নিবিড় সংশোধন-এর দিন ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন। নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সোমবার কমিশন সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিল মঙ্গলবার থেকে এসআইআর-এর কাজ শুরু হচ্ছে বাংলায়।

দ্রুত ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের উদ্দেশ্যে দেশের সবক’টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ‍্য নির্বাচনী আধিকারিককে (সিইও) নিয়ে দিল্লিতে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার এবং দুই নির্বাচন কমিশনার, এসএস সান্ধু ও বিবেক যোশীর উপস্থিতিতে বৈঠক চলে।

আরও পড়ুনঃ চাঁদের গায়ে চাঁদ লেগেছে! নতুন সঙ্গীকে নিয়ে পথ চলা শুরু হল আমাদের পৃথিবীর

এসআইআর শুরুর আগে এই দ্বিতীয় প্রস্তুতি বৈঠকই ছিল শেষ বৈঠক। বিহারে এসআইআর-পর্ব শেষে বিধানসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এর পরে আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরল, তামিলনাড়ু এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা।

বস্তুত, নির্বাচন কমিশনের সূত্রে জানা গিয়েছিল, বাংলার ২০০২ সালের তালিকা এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখা গিয়েছে— দু’টির মধ্যে মাত্র ৫২ শতাংশ ভোটারের তথ্য মিলে গেছে। রাজ্যে মোট ভোটারের সংখ্যা এখন ৭.৬ কোটি, অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক ভোটারের তথ্য মিলছে না।

এখনও জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং জেলার তালিকা যাচাই বাকি, যা মিলিয়ে আরও প্রায় ৪০ লক্ষ ভোটার। ফলে, ভোটার যাচাইয়ের মোট সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৩.৫ কোটি। কমিশন সূত্রে খবর, বিহারে ২ কোটি ভোটারকে এই প্রক্রিয়ায় যাচাই করতে হয়েছিল।

প্রতি বছরই যেমন নিয়ম মেনে ভোটার তালিকার সংশোধনের কাজ করে নির্বাচন কমিশন, তেমনই এবারও সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু এবার আর তা রুটিন সংশোধন নয়— কমিশন নিজেই মনে করছে, দীর্ঘদিনের প্রক্রিয়ায় অনেক ত্রুটি রয়ে গিয়েছে। ফলে শুরু হচ্ছে ‘স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ বা সংক্ষেপে এসআইআর, যেখানে গোটা ভোটার তালিকা নতুন করে খতিয়ে দেখা হবে।

আরও পড়ুনঃ ঘোষণা আজ! ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় আছে আপনার নাম?

কমিশনের বক্তব্য, নাম তোলা ও বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে এবার নিশ্চিত করা হবে দুটি বিষয়—

এক, কোনও বৈধ ভোটার যেন বাদ না পড়েন।
দুই, একজনও অবৈধ ভোটার যেন তালিকায় না থাকেন।

অর্থাৎ, প্রতিটি নাম নতুন করে যাচাই করে তালিকা প্রস্তুত করা হবে। কমিশন জানিয়েছে, এসআইআরের জন্য নির্দিষ্ট কোনও দিনক্ষণ নেই; প্রয়োজন মনে হলেই এই উদ্যোগ নেওয়া যায়।

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে শেষবার এই ধরনের বিশেষ রিভিশন বা আমূল সংশোধন হয়েছিল ২০০২ সালে। অর্থাৎ, প্রায় ২৩ বছর পর ফের সেই পথে হাঁটছে কমিশন। গত এক দশক ধরে গোটা দেশেই এই ধরনের রিভিশন আর হয়নি।

তবে, এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনীতির ময়দান তপ্ত। বিরোধী শিবিরের দাবি, ‘বিজেপির ভাবনা’ থেকেই এসআইআরের উদ্যোগ। কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ একাধিক দল অভিযোগ করেছে, বিজেপির ধারণা অনুযায়ী প্রায় এক কোটি ‘অনুপ্রবেশকারী’— বিশেষ করে বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে আসা মানুষ ভারতের ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন। সেই নামগুলি বাদ দেওয়াই নাকি এই বিশেষ রিভিশনের উদ্দেশ্য।

বিজেপির বক্তব্য, “এসআইআরের লক্ষ্যই হল ভোটার তালিকা পরিষ্কার রাখা।” অন্যদিকে, বিরোধীদের অভিযোগ, “এটি আসলে ভোটের আগে নির্বাচনী সমীকরণ বদলের ছক।”

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন