দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ রয়েছেন মুকুল রায়। বুধবার সন্ধ্যায় কাঁচরাপাড়ায় নিজের বাড়িতেই পড়ে গিয়ে আঘাত পেলেন তিনি। জানা গিয়েছে, ভারসাম্য হারিয়েই তিনি ঘরের মেঝেতে পড়ে যান। তাঁকে আহত অবস্থায় প্রথমে কল্যাণীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে, কলকাতায় ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
২০২১ সালে স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই মুকুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি শুরু হয়। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসে ভুগছেন। পাশাপাশি, ডিমেনশিয়াও রয়েছে তাঁর। এই বছরের এপ্রিল মাসেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল প্রবীণ এই নেতাকে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল মুকুলকে। কাঁচরাপাড়ায় যুগল ভবনের দোতলায় থাকেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি অসুস্থ। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী মুকুলের সঙ্গে দেখা করে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছিলেন। ব্যারাকপুর সাংসদ পার্থ ভৌমিকও লোকসভার ভোটের আগে অসুস্থ মুকুলকে দেখতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন।
রাজনৈতিক জীবনের প্রথম দিকে মুকুল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন এবং তাঁর জনপ্রিয়তা গড়ে ওঠে। এক সময় তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ ছিলেন মুকুল। রাজ্য রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম ‘বিশ্বস্ত সৈনিক’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। এক সময় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। দীর্ঘ দিন তৃণমূলে থাকার পরে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। জেতার পর জুন মাসে তিনি আবার তৃণমূলে ফেরেন। খাতায়কলমে মুকুল এখনও কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপির বিধায়ক হলেও গত দু’ বছর ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে নেই এই প্রবীণ নেতা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *