এই বছর এপ্রিল মাসেই সিঙ্গাপুর এবং হংকং ভারতের দুই জনপ্রিয় মশলা প্রস্তুতকারক সংস্থা এমডিএইচ এবং এভারেস্টের (Indian Spices Controversy) মশলা ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই দুই সংস্থার মশলায় রাসায়নিক মেশানোর অভিযোগ উঠেছিল। ফলে এই দুই দেশে নিষিদ্ধ হয় মশলা, তারপর নেপালেও এমডিএইচ এবং এভারেস্টের মশলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তারও কয়েকদিন পরে রাজস্থান প্রশাসনও পরীক্ষাগারে যাচাই করে রাসায়নিকের (Indian Spices Controversy) উপস্থিতি টের পাওয়ায় এই দুই সংস্থার মশলাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এবার ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্য গুণমান যাচাই বিভাগের পক্ষ থেকে দেশের মোট ১১১টি সংস্থার মশলা উৎপাদনের লাইসেন্স বাতিল করা হল। পরপর মশলা নিয়ে এই অভিযোগ ওঠার পরেই ফুড সেফটি স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI) ভারতের বিভিন্ন শহর থেকে মশলার নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করতে শুরু করেছিল আর তাঁর ফলশ্রুতিতেই এই মুহূর্ত থেকে উল্লিখিত ১১১টি সংস্থাকে মশলা প্রস্তুত করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে FSSAI।
একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানান গিয়েছে, FSSAI এখনও সারা দেশজুড়েই পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ৪ হাজার নমুনা পরীক্ষা করবে এই সংস্থা। ফলে আগামীতে আরও কিছু সংস্থার লাইসেন্স বাতিল হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এইসব নমুনার মধ্যে রয়েছে এমডিএইচ, এভারেস্ট, ক্যাচ, বাদশা ইত্যাদি সহ নামীদামী ব্র্যান্ডের মশলাও।
একটি সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, FSSAI ইতিমধ্যে ২২০০টি নমুনা পরীক্ষা করে ফেলেছে। এর মধ্যে ১১১টি মশলায় যে সাধারণ গুণমান থাকা উচিত তা পাওয়া যায়নি। এইসব মশলা প্রস্তুতকারকদের লাইসেন্স ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে এবং সংস্থায় মশলা উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এও জানা গিয়েছে FSSAI-এর অধীনে নমুনা পরীক্ষাকেন্দ্র সংখ্যায় খুবই কম, আর তাই এরকম আরও কিছু সংস্থার তালিকা প্রস্তুতিতে সময় লাগছে। মশলার গুণমান বজায় না রাখার কারণে আরও কিছু সংস্থা সরকারের কালো তালিকাভুক্ত হতে পারে।
বেশ কিছু আধিকারিকের মতে, যে সমস্ত সংস্থার লাইসেন্স বাতিল হয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশই কেরালা এবং তামিলনাড়ুর ক্ষুদ্র মশলা প্রস্তুতকারক সংস্থা, তবে গুজরাত, মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশেরও কিছু সংস্থা FSSAI-এর নজরে এসেছে। এদের বেশিরভাগই যেহেতু ক্ষুদ্র উদ্যোগের সংস্থা, তাই তাদের ওয়েবসাইট নেই, যোগাযোগের নম্বর নেই, ইমেল আইডিও নেই।
এর আগে একইভাবে মে মাসে এমডিএইচ ও এভারেস্টের মশলা পরীক্ষা করে তাতে ইথিলিন অক্সাইডের উপস্থিতি খুঁজে পায়নি FSSAI। মোট ৩৪টি নমুনা নেওয়া হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। দেশের মোট ২৮টি পরীক্ষাগারে এই মশলার নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *