Monday, 4 August, 2025
4 August, 25
Homeরাজ্যগ্যাম্বলিংয়ের বিষয়টা আসলেই এক ধরনের চক্রগুহর মতো, মিনাক্ষীর চরিত্রও গল্পে গভীরতা এনেছে

গ্যাম্বলিংয়ের বিষয়টা আসলেই এক ধরনের চক্রগুহর মতো, মিনাক্ষীর চরিত্রও গল্পে গভীরতা এনেছে

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

জয়দীপ মৈত্র, (দক্ষিণ দিনাজপুর)

সিনেমা রিভিউ
বঙ্গবার্তা ডেস্ক: মুভি – lucky Baskhar
সালঃ 2024
জনরাঃ ক্রাইম/ড্রামা
রান টাইমঃ ২ঘণ্টা ৩১মিনিট
আইএমডিবি রেটিংঃ 8.2/10
পার্সোনাল রেটিংঃ 8/10

হালকা স্পয়লার❌

রিভিউ:
Lucky Baskhar“মুভিটা মূলত দুলকারের জন্যই দেখতে বসেছিলাম। ডিরেক্টর Venky Atluri ভালোভাবেই উপস্থাপন করেছেন সবকিছু। একটা মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির বাস্তবতা অনেকাংশে ভালোভাবেই ফুটিয়েছেন উনি। আর দুলকার এর অভিনয় তো বরাবরই ভালো সেটা আলাদাভাবে বলার নয়। এই মুভিতে দুলকার এর এক জায়গায় হঠাৎ সম্পূর্ণ বাচনভঙ্গি, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ আসলেই ভালো লেগেছিল আমার। এমনটা নয় যে হঠাৎ চেঞ্জ করার সিন আগে অন্য এক্টরের কখনও দেখিনি। দেখেছি কিন্তু এই সিনে কেনো জানি একটু ভিতর থেকে ফিল এসেছে।যখন দুলকার তার প্রমোশন অন্য কাউকে দেওয়ার পেছনে ব্যাংকের ম্যানেজারের কারসাজি বুঝতে পারে। এই সময় তার রাগ এবং ন্যায়বিচারের তীব্র দাবিতে ম্যানেজারের মুখোমুখি হওয়ার দৃশ্যে একটু রক্ত গরম হওয়া ফিল আসে কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে বাস্তবতা রিয়েলাইজ করে পুরা ফেস এক্সপ্রেশন চেঞ্জ করাটা আমার পার্সোনাল ভাবে ভালো লেগেছে। শুধু সিনেমাপন্থী না বাস্তবপন্থী দিকটা এখানে মুহূর্তের মধ্যে দেখা যায়

মিনাক্ষীর চরিত্রও গল্পে গভীরতা এনেছে। তার আর্থিক সংকট এবং সমাজের খোটামূলক কথাগুলোর জবাব দিতে তার জেদি মনোভাব ও নিজে কিছু করার স্পৃহা আসলেই ভালো লেগেছে । অনেক ক্যারেক্টারের ক্ষেত্রে দেখা যায় এরকম সময়ে শুধু ভাগ্যের দোষ দেয় কিন্তু ভিন্নতা ভালো লেগেছে।

গ্যাম্বলিংয়ের বিষয়টা আসলেই এক ধরনের চক্রগুহর মতো, এবং বেশিরভাগ মানুষই এতে আটকে যায় কিন্তু কিছু মানুষ বেরিয়ে আস্তে পারে। যেমন ভাস্কর(দুলকার), সময়মতো থেমে যায় এবং সেই পথ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। তবে, এই চক্র থেকে বের হওয়া সহজ নয়, এবং সফলভাবে বের হতে হলে পরিবারের সহায়তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ভাস্করের বাবার ভূমিকা এখানে অনবদ্য। তার পূর্বকানেকশন এবং শেষের ছোট্ট সাহায্যের কারণে, ভাস্কর নিজের নামের কোনো দাগ না রেখে এই বিপথ থেকে বেরোতে সক্ষম হয়। তবে, সবসময় মনে রাখতে হবে যে “বাপের ওপরেও বাপ থাকে“—দুলকারের চরিত্র প্রথমে মনে হতে পারে যে সে পুরো খেলা নিজের মতো করে চালাচ্ছে, কিন্তু যখন দেখা যায় যে হার্শা মেহেতা আরও বড় গেম খেলছে, তখন সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যায় এই কথাটার যে বাপের ওপরেও বাপ থাকে। তবে এই বিশাল মাপের কলকাঠীর জন্য হারশা মেহতাকে কেন্দ্র করে এটার সেকেন্ড পার্ট আসলে মন্দ হয়না।(যদিও আসবেনা, শুধু মনের কথা)

এছাড়াও, ভাস্করের জীবনে অ্যান্টনির মতো বন্ধুর উপস্থিতি ভালো লেগেছে। বিপদের সময় এমন বন্ধুর ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, তা অ্যান্টনির চরিত্রে স্পষ্ট। এমন বন্ধু যারা নির্ভীকভাবে পাশে থাকে, বাস্তব জীবনে খুবই বিরল। যদিও প্রথমে ইনভেস্ট করতে হয়েছিল…

আর সবকিছু যে পারফেক্ট লেগেছে তাও না। ব্যাপারটা হচ্ছে যে শুরুর দিকে দুলকার এর অবস্থা খুবই খারাপ। টাকাপয়সার অনেক অভাব কিন্তু তার মুখে দেখে বুঝার উপায় নেই। হ্যাঁ ঠিক আছে যে মানুষ নিজের খারাপটা ঢেকে রাখতে চায়। কিন্তু রাখা তো যায়না। একটু আধটু বের হয়। সো মেকআপটা যদি আরেকটু কম দিত প্রথমে দিকে তাহলে মনে হয় আরেকটু বাস্তবসম্মত হতো।
আর পাড়ার লোকজনের ব্যাপারটা একটু দুর্বল… পুরো মুভিজুড়ে পাড়ার লোকজন শুধু হা করে তাকিয়েই থাকে। ভালো মন্দ কিছুই না তারা শুধু তাকিয়ে থাকে। ফিল্মি আবহটাকে একটু বাড়ানোর জন্য প্রতিবেশীদের এক্টিভনেস একটু দেখানকি যেতো। বলছিনা তারা সব কাজকাম ফেলে এদের নিয়ে কথা বলবে। কিন্তু বাস্তবেও দেখেন কেউ দ্রুত উন্নতি করতে থাকলে আশেপাশের মানুষ একটু আলগা পিরিত দেখায় সেটাও নেই(মানে প্রতিবেশীর মধ্যে) আর কোনো নেগেটিভিটি ও করেনা। সবশেষে আমার এই ব্যাপারটা একটু নরমাল লাগছে আরকি

সবশেষে বলতে চাই একটি বেশ উপভোগ্য মুভি, এবং যদি আপনি দুলকার সালমানের ফ্যান হন, তবে এটি অবশ্যই দেখার মতো একটি মুভি। এটি আপনাকে ভিন্নরকম অভিজ্ঞতা দেবে এবং নিঃসন্দেহে মাস্ট ওয়াচ হবে। তবে অতিরিক্ত কিছু এক্সপেক্ট করে না বসাই ভালো। যেমন আমি এমনি দেখতে বসলাম দেখে বেশ রিফ্রেশিং আর উপভোগ লেগেছে। অতিমাত্রায় প্রত্যাশা নিয়ে বসলে এই মুভিই হয়তো বোরিং বা দুর্বল লাগতো…

হ্যাপি ওয়াচিং…
@highlight

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন