Saturday, 2 August, 2025
2 August, 25
Homeগল্প"বিসর্জন "- সৌমেন মুখোপাধ্যায়

“বিসর্জন “- সৌমেন মুখোপাধ্যায়

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

“বিসর্জন “
সৌমেন মুখোপাধ্যায়

ঘরের মধ্যে একটা শোভায় বসে অনিল শিউলীকে বলে, “জানো শিউলী, জীবনটা কত সুখের তা আমি এর আগে কল্পনা করতে পারিনি। এইভাবে বাকী জীবনটা কাটাতে পারলেই বেশ। “
“হাঁ, তাতো ভালোই হয়। যেদিন কষ্ট করে উপার্জন করবে, গাড়ী বাড়ী করবে সেদিন বুঝবে। এখনতো কাঁধে লাঙল চাপেনি তাই বুঝতে পারছো না।” কথাটা বলে শিউলী নিজের কাজে চলে যাচ্ছিল দেখে অনিল টপ করে তার একটা হাত ধরে বলে, “কি বললে তুমি, আমার কাঁধে লাঙল চাপেনি?”
“না, কখনও না।”
“তাহলে তুমি আমার কে ?”
“আমি ?”
“হাঁ”
“কেউ না।”
“তাহলে….. ” এবার হাতটা ধরে নিজের দিকে শিউলীকে টান দেয়।
“কি হচ্ছে কি ?”
“কি আর হবে, এতদিন যাকে আমি কাছে পেয়েও কাছে পায়নি তাকে আজ বুকের মধ্যে টেনে নিলাম। “
“ছাড়ো বলছি, ছাড়ো। কেউ যদি দেখে ফেলে কি ভাববে বলো তো?”
“কিছু না।”
“কিছু না বললে হবে। হাতমুখ ধুতে হবে না?”
“সে পরে হবে। এখন আমি তোমাকে চোখ মেলে দেখবো।”
“আমাকে দেখার অনেক সময় আছে, এবার ছাড়ো।” অনিলের হাত থেকে রেহাই পেয়ে বলে, “সত্যি তুমি না।”
“কি?”
“কিছু না।”
এবার দুজনে হাসতে থাকে।

সকালে সূর্যের আলো চোখে পড়তেই কৃষ্ণাদেবীর ঘুম ভাঙে। প্রতিদিনের মতো অনিলের ঘরে একবার ঘুরে এসে তারপর চা করা হয়। কিন্তু আজ তার ব্যতিক্রম ঘটে। অনিলের ঘরে গিয়ে দেখে সারাঘর শূণ্য।  অনিলের কোন খবরটুকু নেই । টেবিলে একটা পাতা একটা ভারী বস্তু দিয়ে চাপা দেওয়া আছে। কৃষ্ণাদেবী সেই কাগজটা হাতে নিয়ে একবার পড়ার পর অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। কাজের মহিলা ঘর ঝাঁট দিতে এসে দেখে তাড়াতাড়ি প্রতাপ চক্রবর্তীকে খবর দেয়। ধরাধরি করে বিছানায় শুয়ে দিয়ে তারপর মুখে চোখে জল দেওয়া হয়। মাথায় পাখার বাতাস করা হয়। যখন কৃষ্ণাদেবীর হুঁশ হয় তখন দেখে সে বিছানায় শুয়ে আছে, দাসী মাথায় হাত বুলিয়ে পাখার বাতাস করছে, আর ডাক্তারবাবু তার প্রেসক্রিপসন লিখে প্রতাপ চক্রবর্তীকে ওষুধ খাওয়ানোর সময়সূচী বুঝিয়ে দিচ্ছে। ডাক্তারবাবু প্রতাপ চক্রবর্তীকে বলে, "ও কিছু না প্রতাপবাবু। ছেলে চলে যাওয়ার ব্যথায় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন।  এরজন্য কোন চিন্তা করার কিছুই নেই।  এখন ওনাকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম করতে হবে। আর হাঁ, উনি যাতে কোনরকম উত্তেজিত না হয়ে উঠেন সেইদিকে একটু খেয়াল রাখবেন।  আমি মাঝে মাঝে এসে দেখে যাবো। এখন তাহলে আসি।" হাতের ব্যাগটা নিয়ে প্রতাপ চক্রবর্তীর সাথে বাড়ীর দরজা পর্যন্ত এগিয়ে যায়।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন