
“বিসর্জন”
সৌমেন মুখোপাধ্যায়

একদিন হঠাৎ করে মোকদ্দমার কাগজ হাতে নিয়ে হুকো মহন্ত প্রতাপ চক্রবর্তীর বাড়ীতে হাজির। কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলে, “হুঁজুর, এখন আমি কি করব ?”
“কি আর করবি, একটা ভালো দেখে উকিল ধরে মোকদ্দমা চালাতে হবে। তারপর দেখি কি করা যায়। তবে ফটিক ছাড়বার পাত্র নয়।”
“তাহলে ?”
“তাহলে আর কি? মোকদ্দমার দিন কবে ?”
“সাতদিন পর।”
“সাতদিন! এই সাতদিন তোমাকে উকিল জোগাড় করতে হবে। তারপর যা করার আমি করব। তুমি মাথা ঠান্ডা রাখবে। কান্নাকাঠি করার দরকার নেই। “
“ঠিক আছে হুঁজুর। ” প্রতাপ চক্রবর্তীর কথায় হুকো মহন্ত যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে।
মোকদ্দমা জিতে হুকো মহন্ত আনন্দে নাচতে থাকে। একদিন প্রতাপ চক্রবর্তীর বাড়ীতে নানারকম ফলমূল - নানারকম মিষ্টি দিয়ে প্রণাম করে যায়। এই কান্ডকারখানা দেখে সবাই অবাক হয়ে যায়।