
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার পর থেকে একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসাথী সেই তালিকায় নাম রয়েছে প্রচুর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর মাধ্যমে বাংলার সাধারণ মানুষের মনে আলাদা করে স্থান করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস । এদিকে জমি হারাচ্ছে রাজ্যের একদা ‘শাসক’ সিপিএম।
- লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের চাপে কুপোকাত বাম শিবির
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, রাজ্যজুড়ে প্রায় সব জায়গায় সিপিএমের (CPM) এরিয়া স্তরের সম্মেলনের খসড়া প্রতিবেদনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা নানান প্রকল্পের উল্লেখ রয়েছে। এমনকি রিপোর্টে ভোট পর্যালোচনার স্থানে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ সহ নানান স্কিমের কথা তুলে ধরা হয়েছে বলে খবর। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে সিপএম সূত্র উদ্ধৃত করেই এমনটা দাবি করা হয়েছে।
সিপিএমের প্রথম সারির নেতাদের অনেকেই নাকি একান্ত আলোচনায় মেনেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’এর মতো প্রকল্প যেমন একদিকে তৃণমূলের ভোট সংহত করে তা বৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তেমনই এর ফলে চাপে পড়ছে বামেরা।
দলের এরিয়া স্তরের সম্মেলনে রাজ্য সকারেরর ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ সহ বেশ কিছু প্রকল্পের উল্লেখ থাকার কথা মেনে নিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি তথা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ‘আমাদের দলের সম্মেলনে সদস্যরা নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বলেন। পার্টিতে সেই পরিসর আছে। এটা অন্য দলের মতো না। সেখানে নানান বিষয় রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে নাগরিককে প্রজা বানিয়ে রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই তৃণমূল কংগ্রেস যে মৌলিক অধিকার না দিয়ে শুধুমাত্র ভোটের জন্য কিছু প্রকল্পকে ব্যবহার করছে, সেই মতও উঠে আসছে’।
এখানেই না থেমে সুজনের দাবি, ‘দেশে বিজেপির লুট চলছে আর রাজ্যে চলছে তৃণমূলের। এখান থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্ত করার লড়াই জারি রাখতে হবে’। এদিকে বাংলা তো বটেই জাতীয় স্তরের রাজনীতিতেও নজর কেড়েছে মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্পের ধাঁচে একাধিক রাজ্যে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে মাসিক অর্থ পাঠানোর স্কিম চালু করা হয়েছে। ভোটবাক্সে দেখা গিয়েছে তার প্রভাব। এই বিষয়ে সিপিএমের এক তরুণ নেতা বলেন, ‘দিদির মডেল যেভাবে সব জায়গায় অনুসৃত হচ্ছে, তাতে ছাব্বিশের আগে কেরলে আমাদের সরকারকেও না এই পথে হাঁটতে হয়!’