মানবতা এখনও বেঁচে আছে, তারই হয়তো প্রমাণ দিলেন সুখবিন্দর ও গগনদীপ। লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে সাফ রাস্তা, মাঠের মধ্যে দিয়েও বইছে জলের তুমুল স্রোত। এদিকে স্কুল যে ছুটি হয়ে গিয়েছে। ছোট ছোট বাচ্চারা অপেক্ষা করছে বাড়ি যাওয়ার। তাদের পৌঁছে দিতেই মাটিতে শুয়ে পড়লেন দুইজন। রাস্তা নেই তো কী হয়েছে, তারা নিজেরাই রাস্তা হয়ে উঠলেন খুদে পড়ুয়াদের কাছে।
আরও পড়ুনঃ ১১ বছরের উন্নয়নের শহর তিলোত্তমা, জলমগ্ন সিটি অফ জয়; রাত থেকে টানা বৃষ্টি
পঞ্জাবের মোগা জেলায় ৩৫ স্কুল পড়ুয়াকে এইভাবেই উদ্ধার করলেন দুই ব্যক্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই ভিডিয়ো। তাদের সাহসিকতা ও উপস্থিত বুদ্ধিকে বাহবা জানিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে সম্মানিতও করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, সকালে আবহাওয়া ভাল থাকলেও, কিছুক্ষণ পর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। সকাল ১০টা নাগাদ স্কুলে রেইনি ডে বলে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। বৃষ্টির মধ্যেই পড়ুয়ারা বাড়ি ফিরছিল, এমন সময় গুরুদ্বার থেকে ঘোষণা করা হয় যে সামনের রাস্তায় ধস নেমেছে ভারী বৃষ্টির জেরে। রাস্তার ওপারেই আটকে থাকে ৩৫ পডুয়া।
তাদের দেখে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন সুখবিন্দর সিং ও গগনদীপ সিং। গগনদীপ গিয়েছিলেন তাঁর ভাইপোকে আনতে। তারা বাচ্চাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করলেও দেখেন, প্রায় তাদের কোমর সমান জল জমে রয়েছে। বাচ্চারা এই জলে নামলে তো ডুবে যাবে! রাস্তার ভাঙা দুই অংশের মধ্যে দূরত্বও প্রায় ৫ ফুটের। লাফ দিয়ে পার করাও সম্ভব নয়!
আরও পড়ুনঃ মিঠুন জানিয়ে দিলেন ‘ছাব্বিশের ভোটে তৃণমূল ৭০টা সিটও পাবে না’
এরপরই সুখবিন্দর পড়ুয়াদের উদ্ধার করতেই তারা মানব-সেতু তৈরি করার প্রস্তাব দেন। সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যান গগনদীপ। ওই ভাঙা অংশের উপরে শুয়ে পড়েন দুইজন। তাদের উপর দিয়ে হেঁটে রাস্তা পার করে। আরও ১০ জন ব্যক্তিকে এভাবে উদ্ধার করা হয়। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে লুধিয়ানা প্রশাসনের কাছে রাস্তা সংস্কারের আবেদন জানানো হয়েছে।