এসআইআর, ভোটার লিস্ট সংশোধন, এইসব নিয়ে যখন রাজ্য-রাজনীতির বাজার গরম, সেই সময় আবার বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা এলাকায় ৩৮ জন ভোটারের নেই কোনও হদিস। এরা সকলেই ভুয়ো ভোটার। মানলেন বিজেপি-তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুনঃ চাপানউতোর কম হচ্ছিল না, জল গড়িয়ে কলকাতা হাইকোর্টে! কাল বিকালেই জয়েন্টের ফল
গত মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিক সম্মেলন করে এই এলাকার ৩৮ জন ভুয়ো ভোটারের নাম প্রকাশ্যে নিয়েও আসেন। বিরোধী দলনেতা পরিষ্কার জানান, বারুইপুর পূর্ব আর ময়নায় ভুয়ো ভোটার রয়েছে। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগও জানান তিনি। সেই তালিকা ধরেই এবার সরেজমিনে খোঁজখবর নিতে এলাকায় ঘুরে ঘুরে দেখলো বঙ্গবার্তা।
বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা এলাকার মধ্যে থাকা ধোসা-চন্দনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েত ও পাশের চালতা বেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই রয়েছে ওই ৩৮ জন ভোটারের নাম। সেই তালিকা নিয়ে বুধবার এলাকায় গিয়ে খতিয়ে দেখা যায় লিস্টে থাকা নামের ব্যক্তিদের কোনও অস্তিত্বই নেই।
এই বুথেরই বাসিন্দা ধোসা- চন্দনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের যুব তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত মণ্ডল। নিজে ওই এলাকার বাসিন্দা হলেও তিনি শুভেন্দু অধিকারীর প্রকাশ করা ভোটারদের কাউকেই চিনতেই পারেননি। তিনি বলেন, “আমরা প্রশাসনকে দলের তরফে আগেই জানিয়ে রেখেছি। যাতে কোনও ভুয়ো ভোটার তালিকাভুক্ত হতে না পারে। কোনও বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ না পড়তে পারে সেটাও বলেছি।”
আরও পড়ুনঃ দরাজদিল মমতা! বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আগামী ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি ছুটি
অন্যদিকে ওই বুথেরই গ্রামবাসীরাও শুভেন্দু অধিকারীরও তালিকায় নাম থাকা ভোটারদেরকেও তাঁরা চিহ্নিত করতে পারেননি। এলাকাবাসীর অনুমান তালিকায় থাকা সবাই ভুয়ো ভোটার। গ্রামবাসী দীপঙ্কর কয়াল বলেন, “এদের কেউ চেনে না আর এদের নামে কেউ থাকে না।”
যদিও এ বিষয়ে বিজেপির অভিযোগ পরিকল্পনা করে বিভিন্ন বুথে ভুয়ো ভোটারকে নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। বারুইপুর পূর্ব মণ্ডল বিজেপির সভাপতি সন্দীপ নাইয়া বলেন, “সিনহা-অধিকারী এই টাইটেলের কেউ থাকে না। সব ভুয়ো।”