Friday, 12 September, 2025
12 September
বাংলা কাউন্টডাউন টাইমার
বঙ্গবার্তা
Homeদক্ষিণবঙ্গBankura: কাতর আর্জি! মুখ্যমন্ত্রীকে ‘মমতা দিদুন’ সম্বোধন করে খোলা চিঠি স্কুল শিক্ষিকার...

Bankura: কাতর আর্জি! মুখ্যমন্ত্রীকে ‘মমতা দিদুন’ সম্বোধন করে খোলা চিঠি স্কুল শিক্ষিকার ছোট্ট ছেলের

ছোট্ট ঐতিহ্য জানতে পারে, চাইলেই মুখ্যমন্ত্রী তার মাকে তার কাছে এনে দিতে পারে।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

সূর্যকান্ত চৌধুরী, বাঁকুড়া:

বয়স মাত্র পাঁচ বছর। মা প্রাথমিক শিক্ষিকা হিসাবে কর্মরত উত্তর দিনাজপুরে। অগত্যা মাকে ছাড়াই মাসের পর মাস কাটে ছোট্ট শিশুর। এবার নিজের কষ্টের কথা খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে ‘দিদুন’ হিসাবে সম্বোধন করে খোলা চিঠি লিখল ঐতিহ্য দাস নামে ছোট্ট সেই শিশু। শুধু তাই নয়। মা বাড়ির সামনে চলে এলে ফের ‘দিদুন’-কে চিঠি লিখবে সে। চিঠি লিখে ধন্যবাদ জানাবে।

আরও পড়ুনঃ ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠাচ্ছে ইউনুসের বাংলাদেশ

ঐতিহ্য দাসের বয়স যখন মাত্র ২ বছর, তখন তার মা স্বাগতা পাইন প্রাথমিক শিক্ষিকা হিসাবে চাকরি পান। তখন থেকেই মা উত্তর দিনাজপুরের রহমতপুর এফপি স্কুলে কর্মরতা। একসময় মা তাঁর কর্মস্থলে নিয়ে গিয়েছিলেন ছোট্ট ঐতিহ্যকে। কিন্তু উত্তর দিনাজপুরের আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে পারেনি ঐতিহ্য। অগত্যা কয়েকমাস পরেই ঐতিহ্যকে আসানসোলে কর্মরত বাবার কাছে রেখে যান স্বাগতা। আসানসোলে দাদু ও বাবার কাছে থেকেই লেখাপড়া শুরু করে ঐতিহ্য।

কর্মক্ষেত্রের দূরত্বের কারণে সেভাবে মাকে কাছে পায় না ঐতিহ্য। ছোট্ট শিশুর মনের কোণে জমা হতে থাকে কষ্ট। ছোট্ট ঐতিহ্য জানতে পারে, চাইলেই মুখ্যমন্ত্রী তার মাকে তার কাছে এনে দিতে পারে। তাই নিজের ইচ্ছাতেই পেনসিল দিয়ে নিজের পড়ার খাতার কাগজে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লিখে বসে সে। মুখ্যমন্ত্রীকে ‘প্রিয় মমতা দিদুন’ বলে সম্বোধন করে কাঁচা হাতে বাংলায় লেখা সেই খোলা চিঠির ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছে ছোট্ট শিশুমনের মাকে সবসময় কাছে না পাওয়ার যন্ত্রণা। চিঠিতে সে লিখেছে, ‘আমার খুব কষ্ট হয় মাকে ছাড়া। আমি আমার মাকে খুব ভালবাসি।’ নিজের কষ্টের কথা লিখে ঐতিহ্যর কাতর আর্তি, মাকে যেন তাড়াতাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিলে আবার মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দেওয়ার কথাও জানিয়েছে ঐতিহ্য।

আরও পড়ুনঃ হচ্ছেটা কী? কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী, CDS, ৩ সেনা কর্তা, ডোভাল

ঐতিহ্যর মা স্বাগতা পাইনের বাপের বাড়ি বাঁকুড়ার ইন্দপুরের বনকাটি গ্রামে। তাঁর বক্তব্য, ২০২১ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে যাঁদের প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই কর্মরত রয়েছেন নিজের বাড়ি থেকে দূরবর্তী জেলায়। নিজের নিজের জেলায় ফেরার আবেদন জানিয়ে তাঁরা বারেবারে মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। তার মাঝেই নিজের ছেলের এমন কাণ্ড দেখে তিনিও হতবাক। তিনি বলেন, “ঐতিহ্যকে এমন চিঠি লেখার কথা কেউ শেখায়নি। আসলে ও আমাদের চিঠি লিখতে দেখে। সেই হিসেবেই হয়তো এমন লিখেছে।”

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন