কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টি । ফুলে ফেঁপে উঠেছে নদী। প্লাবিত গ্রামে বেড়েছে সাপের উপদ্রব। সাপের ছোবল খেয়ে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ৯ জন। বৃষ্টিতে বিপর্যয়ের মধ্যেই সাপের উপদ্রব ঘিরে বাড়ছে আতঙ্ক।
আরও পড়ুনঃ বেহাল উত্তরবঙ্গ; ‘রাজনীতি’ সরিয়ে একসঙ্গে পাশে দাঁড়ানোর বার্তা বিরোধীদের
উত্তরবঙ্গজুড়ে টানা অতি ভারী বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পাহাড়ি ঢাল ও লাগাতার বর্ষণে ফুলে ফেঁপে উঠেছে এলাকার প্রায় সমস্ত নদী। জল ঢুকে পড়েছে বহু গ্রামে। বহু পরিবার এখন জলবন্দি। এই জলবন্দি এলাকাগুলিতেই নতুন আতঙ্কের নাম বিষাক্ত সাপ। নদীর স্রোতের সঙ্গে ভেসে আসা সাপ ঢুকে পড়ছে বাড়ি-ঘরে, উঠোন, এমনকি আশ্রয় শিবিরেও। ফলে আতঙ্কের পরিবেশ ছড়িয়েছে গ্রামাঞ্চলে।
শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালেই সাপের ছোবলে অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৯ জন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লাগাতার বৃষ্টির কারণে সাপেরা স্বাভাবিক আবাস ছেড়ে শুকনো আশ্রয়ের সন্ধানে মানুষের বসতিতে ঢুকে পড়ছে।
আরও পড়ুনঃ ‘চরম অমানবিক’! দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ির গাড়িভাড়া ১২ হাজার! ক্ষোভে ফুঁসছেন অসহায় পর্যটকরা
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “রাতের বেলায় জলের উপর দিয়ে সাপ ভেসে ঘরে ঢুকে পড়ছে। আমরা ঘুমোতেও পারছি না, আতঙ্কে দিন কাটছে।” প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য দফতরকে বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এবং সাপের কামড়ের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম মজুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বন্যাপ্রবণ গ্রামগুলিতে সচেতনতামূলক মাইকিংও শুরু হয়েছে।
এদিকে, বৃষ্টি বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। আগামিকাল উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার উত্তরবঙ্গে পৌঁছবেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তৃণমূল ও বিজেপি তাদের কর্মীদের দুর্গতদের সবরকম সাহায্য করতে নির্দেশ দিয়েছে।