চাকরি বাঁচাতে ফের পরীক্ষায় বসতে হবে রাজ্যের শিক্ষকদের। উৎসবের মধ্যেই সুপ্রিম নির্দেশে ঘুম উড়েছে হাজার হাজার শিক্ষক সহ স্কুল শিক্ষা দফতরেরও। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষককে টেট পাস করতে হবে। শীর্ষ আদালতের এই রায় সামনে আসতেই শিক্ষকমহলে হৈচৈ। এরই মধ্যে শিক্ষা দফতরের সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সমীক্ষা বলছে, টেট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশ কার্যকর হলে চাকরিহারা হবেন এ রাজ্যের প্রায় ৯০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা। এই অবস্থায় শিক্ষকদের কথা মাথায় রেখে সুপ্রিম রায় পুনর্বিবেচনার পথে হাঁটতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
সূত্রের খবর, কালীপুজো-ভাইফোঁটার মিটে গেলে সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে চলেছে রাজ্য সরকার। একই সাথে, কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে নতুন করে টেট পরীক্ষা গ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতিও সেরে রাখছে রাজ্য।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম নির্দেশ ছিল, টেট উত্তীর্ণ নয় এমন শিক্ষকদের পরবর্তী দু’বছরের মধ্যে ওই পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। এমনটা না হলে চাকরি ছাড়তে হবে, অথবা, চূড়ান্ত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরের পথে হাঁটতে হবে। তবে যাঁরা আগামী পাঁচ বছরে অবসর নেবেন, তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয় সুপ্রিম রায়ে।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য। সুপ্রিম রায়ের বিষয়ে, দুটি পুনর্বিবেচনার আবেদন দাখিল করেছেন রাজ্যের শিক্ষকেরাও। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের টেট সংক্রান্ত রায়ের আওতায় পড়বেন ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করছেন, সেই সকল শিক্ষকরাও। ফলে অনেকে চাকরি হারানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর আমরা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে উপযুক্ত পদক্ষেপের জন্য অনুরোধ করেছিলাম। রাজ্য রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে চলেছে শুনে ভাল লাগল।” তার কথায়, “এর আগে ইউপিএ সরকারের আমলে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের রক্ষাকবজ দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী শিক্ষকদের জয় নিশ্চিত।” এবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা কোন মোড় নেয় সেটাই দেখার।





