সৌমেন মুখোপাধ্যায়
বাঁকুড়া জেলার একটি প্রসিদ্ধ শহর এবং পৌরসভা এলাকা, যা দশটি অঞ্চলে বিভক্ত। সোনামুখীতে পড়াশোনার জন্য রয়েছে অনেক সুবিধা- রয়েছে একটি সরকারী কলেজ, দুইটি বেসরকারী প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক ট্রেনিং কলেজ, বি.জে. হাইস্কুল (উঃমাঃ) এবং রয়েছে একটি সরকারী আই.টি.আই কলেজ। পড়াশোনার উন্নয়নের ফল যোগাযোগ ব্যবস্থা, যা বাসের যোগাযোগ রয়েছে, সোনামুখী থেকে পাত্রসায়ের হয়ে বর্ধমান হয়ে কোলকাতা পর্যন্ত যোগাযোগ আছে, আবার বাঁকুড়ার মাচানতলা আবার দুর্গাপুর পর্যন্ত যাওয়া যায়। বাস ছাড়াও ট্রেন পথেও যাওয়া যায়। দঃ পূঃ রেল জোনের আদ্রা বিভাগের অধীনে রয়েছে এইখানকার রেল স্টেশন।
আরও পড়ুন: Blood Falls: ব্লাড ফলস! অ্যান্টার্কটিকার বুকে রহস্যময় রক্তের ঝরনা
সোনামুখীর এতসব সুবিধা থাকা সত্ত্বেও সোনামুখীর বেশিরভাগ প্রতিটি স্থানের নামকরণ হয়েছে বিভিন্ন দেব-দেবীর নাম অনুসারে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য “সোনামুখী” নাম। ‘সোনামুখী’ শব্দের মধ্যেই রয়েছে তার সমাধান। ‘সোনা’ অর্থাৎ ‘স্বর্ণ’ আর ‘মুখী’ অর্থাৎ ‘মুখ’ (স্ত্রী লিঙ্গ অর্থাৎ এখানে দেবীর মুখ)। পুরো মানে হল “সোনার মুখ”। ‘স্বর্ণময়ী’ দেবীর (ঠাকুর) মুখ সোনার বলে তার নাম অনুসারে ‘সোনামুখী’ নামকরণ হয়।
আরও পড়ুন: West Bengal: ডিম-মুরগি আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা বাংলায়
সোনামুখী বাঁকুড়া জেলার প্রাচীন জনপদের মধ্যে একটি। সোনামুখীতে তন্তুবায় এবং সুবর্ণ বণিক সম্প্রদায় অতীতে অনেক নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁদের দ্বারা অনেক পুরাতন পুরাকীর্তিগুলো স্থাপিত। সোনামুখীর শ্যামবাজারে স্থাপিত হন এই স্বর্ণময়ী মায়ের মন্দির। সারা শরীরে সিন্দুরে লিপ্ত দেবীর পাথরের মূর্তি এবং একটি উপবিষ্ট জৈন-তীর্থঙ্করমূর্তি মন্দিরে রয়েছে। বর্গী সেনাপতি ভাস্কর রাও এই দেবীর পূজা করেছিলেন। এখানে দুটি ঘোড়া ও দুটি হাতির মূর্তি আছে।