যশপাল সিং (নিজস্ব প্রতিনিধি), ত্রিপুরা:
স্বাস্থ্য দপ্তর প্রতি বছর ওষুধ ক্রয় করছে হাসপাতাল এবং উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর জন্য। যাতে সাধারণ মানুষ এর থেকে উপকৃত হয়। কিন্তু খোয়াইতে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। রাতের অন্ধকারে পুড়ছে একের পর এক জীবনদায়ী ওষুধ। খোয়াই জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসটি রয়েছে ধলাবিলেই।
আরও পড়ুন: Tripura: বিশ্ব চিন্তা দিবসে চিন্তার ভাঁজ গেরুয়া শিবিরে, দুষ্কৃতকারীরা পুড়িয়ে দিল বিজেপি কার্য্যালয়
সেখানেই স্বাস্থ্য দপ্তরের মেডিসিন স্টোরটিও রয়েছে। কিন্তু সেখান থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকার জীবনদায়ী ওষুধ পুড়ানো হলো রাতের অন্ধকারে।
প্রশ্ন তুলছেন জনগণ। শুধু এক জায়গায় নয়, বেশ কয়েকটি স্থানে একই কায়দায় ওষুধ পুড়ানোর ঘটনা জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। প্রশ্ন উঠছে কেন এত পরিমানে মুল্যবান ইনজেকশন, সেলাইন, ওআরএস পুড়ানো হলো? কেন সাধারণ গরীব অংশের মানুষ এই ওষুধগুলো থেকে বঞ্চিত হলো? জনগণের আরও অভিযোগ যে, চেবরী, ধলাবিল এবং খুদ খোয়াই জেলা হাসপাতালের ওষুধও এভাবেই লোক চক্ষুর আড়ালে ছড়ায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Siliguri: ক্রেতা সেজে চুরি! গ্রেফতার মা এবং মেয়ে
কারণ ডাক্তার বাবুরা এই ওষুধগুলো তাদের প্রেসক্রিপশনে লিখেন না। প্রাইভেট নিয়ে ব্যতীব্যস্ততায় উনারা সরকারী ওষুধের বিষয়টি মনেই করতে পারেন না, তাহলে লিখবেন কিভাবে!
এছাড়া যে ওষুধগুলো পুড়ানো হয়েছে, খোঁজ নিয়ে জানা যায় সেগুলো মেয়াদোত্তীর্নও নয়। ২০২৫ সালের নভেম্বর মাস অবধি মেয়াদ রয়েছে এমন ওষুধও রাতের অন্ধকারে পুড়লো খোয়াই ধলাবিলের যত্রতত্র। যদিও গোটা বিষয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।