কলকাতা শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাস রুট ৪৬, ৪৬এ এবং ৪৬বি-এর ৬৩টি বাস পরপর দু’দিন ধরে কর্মবিরতির কারণে অচল ছিল। এই ঘটনার জেরে বিমানবন্দর থেকে বাগুইআটি, কেষ্টপুর, চিনারপার্ক এবং কাঁকুরগাছি হয়ে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত যাতায়াতকারী হাজার হাজার যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বুধবার শিবরাত্রি উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় যাত্রী ভোগান্তি কিছুটা কম হলেও, বৃহস্পতিবার কর্মব্যস্ত দিনে যাত্রীদের চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। দীর্ঘক্ষণ বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকার পরেও বাস না পেয়ে, যাত্রীরা বাধ্য হয়ে এল-২৩৮ বা ১২সি/২-এর মতো বিকল্প বাসের শরণাপন্ন হন। অনেকে আবার বাধ্য হয়ে ট্যাক্সি বা অটো ভাড়া করে গন্তব্যে পৌঁছতে বাধ্য হন, যার ফলে তাদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয়।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে জেলাশাসকের দপ্তরে বঞ্চিত পার্শ্ব শিক্ষকরা
রিপোর্ট অনুযায়ী, এই কর্মবিরতির পেছনে মূল কারণ হল রুটের প্রাক্তন সচিব ও তার অনুগামীদের প্রতিবাদ। তারা বাসের লাভের অপব্যবহার করছে এবং মাঝরাস্তায় বাস থামানোর হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে, রুটের বর্তমান সচিব দুর্গাদাস বিশ্বাস জানিয়েছেন, প্রাক্তন সচিব ও প্রতিবাদী কর্মীদের স্ট্যান্ড থেকে সরাতে না পারলে তারা ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন।
সিটি সাবআরবান বাস সার্ভিসের কর্তারা জানিয়েছেন, দুই পক্ষের সংঘাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি মেনে নেওয়া যায় না। তারা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চান, অন্যথায় এই রুটের যাত্রীরা চিরতরে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: কান্নায় ভাসলেন ক্ষতিগ্রস্থ দোকানীরা, সিপিআই(এম) এর বিক্ষোভ
কোভিড অতিমারীর পর থেকে বেসরকারি বাস পরিবহন ব্যবসা এমনিতেই ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ও গত চার বছর ধরে ভাড়া না বাড়ার কারণে অনেক রুটের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৪৩/১, ২৪১ এ, ২১৩/১, ২১৮/১, ১৮এ/১, ২০৬ এবং ২০৪/১-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ রুট। এছাড়া, অনেক রুটের বাস চলাচল সীমিত হয়ে গিয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগণার বেশ কয়েকটি রুটে বাস চলাচল কমে যাওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে।