Tuesday, 14 October, 2025
14 October
Homeউত্তরবঙ্গJalpaiguri: প্রথমে মৃত, পরে দেখা গেল জীবিত, চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে

Jalpaiguri: প্রথমে মৃত, পরে দেখা গেল জীবিত, চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:

মৃত এবং জীবিত করতে করতে এক শিশু মারাই গেল শেষ পর্যন্ত। ওই শিশুটির পরিবারকে জানানো হয়েছিল, নবজাতক মারা গিয়েছে। আপনারা এসে মৃতদেহ নিয়ে যান। মৃত্যুর শংসাপত্রও তৈরি করে রেখেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেইমতো পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহ আনতে হাজির হয়েছিলেন হাসপাতালে। কিন্তু তারপরেই যা ঘটল, তা রীতিমতো শিউরে ওঠার মতো। পরিবারের সদস্যরা দেখতে পান, সেই শিশু বেঁচে রয়েছে! এরপরেই তড়িঘড়ি তাকে পুনরায় ভর্তি করে নেওয়া হয় হাসপাতালে। ছিঁড়ে ফেলা হয় মৃত্যুর শংসাপত্র। যদিও শেষরক্ষা হল না। রবিবার সেই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেননি বহু উপভোক্তা, বাড়ি তৈরির নির্দেশ

চ্যাংরাবান্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪১ কামাত চ্যাংরাবান্ধা হক মঞ্জিল এলাকার বাসিন্দা রেশমি খাতুন শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। তারপর দু’দিন ধরে এই নাটকের পর এখন শোকের ছায়া নেমে এসেছে শিশুটির পরিবার তথা এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই শিশুর মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগ করে, বিচার চেয়ে রবিবার হাসপাতাল চত্বরেই পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে শিশুর পরিবার। এ প্রসঙ্গে শিশুটির ঠাকুমা সাকিনা বিবি বলেন, ‘গত সোমবার থেকে আমার বৌমা জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে পেটে যন্ত্রণা নিয়ে। শুক্রবার সন্ধ্যায় যন্ত্রণা অত্যধিক হয় এবং হাসপাতালের শয্যাতেই বাচ্চা প্রসব হয়ে যায়। এরপর আমি কর্তব্যরত নার্সকে ডাকি। বিষয়টি বলতেই তিনি বাচ্চা ও বৌমাকে লেবার রুমে নিয়ে যান। লেবার রুমে নিয়ে বাচ্চাকে হিটারের সামনে দেয় আর বৌমাকে বেডে উঠিয়ে দেয়। বৌমাকে চিকিৎসার পরে লেবার রুমের বাইরে বের করে দেয়। কিন্তু বাচ্চাকে দেয়নি। আমি বাচ্চাকে নিতে গেলে নার্স জানায়, ও মারা গিয়েছে, নিয়ে আর কী করবেন? পরদিন সকাল দশটায় এসে বাচ্চার মৃতদেহ নিয়ে যাবেন।’

আরও পড়ুন: তৃণমূল কংগ্রেসে শামিল ৫২ জন, হলো সাংগঠনিক সভা

সেইমতো শনিবার সকাল দশটায় সাকিনারা গিয়েছিলেন হাসপাতালে। ১২টারও পর বাচ্চার দেহ যখন তাঁদের দেওয়া হয়, তাঁরা দেখেন সে তো নড়াচড়া করছে! সাকিনা বলেন, ‘বাচ্চা জীবিত থাকার কথা আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানাতেই তারা আমার হাতের থেকে বাচ্চার মৃত্যুর শংসাপত্র কেড়ে নেয়। এরপর তারা বাচ্চাকে আমাদের কাছ থেকে নিয়ে নেয় আর বলে আধ ঘণ্টা পরে আসতে।’ এরপর বাচ্চাকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন