সাহেব দাস, তারকেশ্বর:
স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়ে অবশেষে আপাতত উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল রেল। হরিপাল স্টেশন সংলগ্ন রেলের জায়গা খালি করা নিয়ে বুধবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল এলাকা। এ দিন সকাল থেকেই রাস্তায় নামে সেখানকার তৃণমূল ও বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলি। অবশেষে আর কিছুটা সময় দিতে আপাতত আগামী ১৭ এপ্রিল অবধি হরিপালে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
বুধবার সন্ধ্যায় রেল পুলিশের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর এ কথা জানালেন হরিপালের বিধায়ক করবী মান্না। আগামী ১৭ই এপ্রিল পুনরায় রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিধায়ক, মন্ত্রী ও স্থানীয় মানুষের উপস্থিতিতে বৈঠক হবে। তারপর উচ্ছেদ সংক্রান্ত বিষয় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: চেয়ারম্যানের সঙ্গে মতানৈক্য! মাত্র ৯ কাউন্সিলারের উপস্থিতিতেই কোচবিহার পুরসভায় বাজেট পাশ
উল্লেখ্য, হরিপালে রেলের জায়গা খালি করে দেওয়ার জন্য ১৬ তারিখ অবধি সময়সীমা দিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। দখলদাররা সরে না গেলে তাদের উচ্ছেদ করা হবে এমনই নোটিশ টাঙ্গানো হয়েছিল এলাকায়। এরই প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে অবস্থান-বিক্ষোভে বসে তৃণমূল। উপযুক্ত পুনর্বাসন ছাড়া কয়েকশো মানুষকে উচ্ছেদ করা যাবে না এই দাবিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে অবস্থান বিক্ষোভ। । হরিপালের বিধায়ক করবী মান্না নিজে উপস্থিত থেকে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন।
অন্যদিকে, উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনও। বুধবার বিশাল পুলিশ বাহিনী হরিপাল স্টেশন চত্বরে মোতায়েন থাকলেও উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে মাসিক শিবরাত্রি, প্রেমের জীবনে বড় চমক এই চার রাশির
অবশেষে সন্ধ্যা থেকে রেল পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিধায়ক। দীর্ঘক্ষণ বৈঠকে শেষে বিধায়ক জানিয়েছেন, আগামী ১৭ তারিখ পর্যন্ত রেল কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত রাখবে। ১৭ তারিখ রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলে আধিকারিকরা আশ্বাস দিয়েছেন।
বিধায়ক জানান, ‘হকার ভাইদের শুধু উচ্ছেদ করলে হবে না, তাদের পুনর্বাসন দরকার । পাশাপাশি হরিপাল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রেল সেভাবে কোন উন্নতি সাধন করেনি। বাসস্ট্যান্ড, সাবওয়ে সহ একাধিক উন্নতি করতে হবে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’