কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের মতো ‘বইপাড়া’ হবে শিলিগুড়িতেও! এ বারের পুরসভার বাজেটে শিলিগুড়ির কলেজ পাড়ায় ‘মিনি কলেজ স্ট্রিট’ গড়ে তোলার প্রস্তাবে সাড়া পড়ে গিয়েছে শহরে। চিলড্রেন পার্কের কাছে প্রায় সাত কাঠা দাবিদারহীন জমি পড়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: CPIM নেতার মৃত্যুতে নার্সিংহোমে তুলকালাম, ছুটলেন মেয়র
ওই জমিতে কয়েকটি ছোটখাটো বইয়ের দোকান রয়েছে। সেখানেই তিন তলা ভবন তৈরি করে বইপাড়া তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা। মেয়রের সিদ্ধান্তে খুশি শিলিগুড়ি মহকুমা পুস্তক ব্যবসায়ী সমিতির এগজ়িকিউটিভ কমিটির সদস্য মধুসূদন পাল।
তিনি বলেন, ‘শিলিগুড়িতে বইয়ের বাজার বিশাল। সেটা বইমেলার বিক্রি থেকেই প্রমাণিত। প্রতি বছরই বিক্রি বাড়ছে। সবচেয়ে বড় কথা, নানা ভাষার বইয়ের ক্রেতা রয়েছে এখানে। ফলে এক ছাতার তলায় বাজারের ভীষণ প্রয়োজন। মেয়রের এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানাচ্ছি।শুধু বইমেলা নয়, স্কুল ও কলেজের বই বিক্রির হিসাব করলেই কয়েক কোটি টাকার ব্যবসা হয় প্রতি বছর। শিলিগুড়িতে ইদানীং কিছু প্রকাশনা সংস্থাও গড়ে উঠেছে। কলকাতায় বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে কলেজ স্ট্রিট। সারি সারি বইয়ের দোকান। নামী দামি প্রকাশনা সংস্থার অফিস। কিন্তু নির্দিষ্ট করে কলেজ স্ট্রিটের মতো বইপাড়া নেই।
আরও পড়ুন: দিনেদুপুরে বোমাবাজি! রণক্ষেত্র জগদ্দল, অগ্নিগর্ভ জগদ্দল
শহরের নানাপ্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই সমস্ত দোকান। এ বার সেই সমস্যা মেটাতে শিলিগুড়ির কলেজ পাড়ায় বইপাড়া গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা শুরু করেছেন মেয়র। শিলিগুড়ি মহকুমা পুস্তক ব্যবসায়ী সমিতির সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌতম দেব মেয়র পদে বসার পরেই দাবিদারহীন ওই জমিতে বইপাড়া গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেন।বাজেটেও বইপাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই শিলিগুড়ির পুস্তক ব্যবসায়ী মহলে সাড়া পড়ে গিয়েছে। গৌতম বলেন, ‘শিলিগুড়িকে সংস্কৃতির সমস্ত স্তরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমার লক্ষ্য।
মেয়রের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী জয়ন্ত করও। সম্প্রতি তিনিও বইয়ের ব্যবসায় নেমেছেন। জয়ন্ত বলেন,‘মেয়রের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। শিলিগুড়িতে একটি বইপাড়ার ভীষণ প্রয়োজন।
