Wednesday, 15 October, 2025
15 October
HomeদেশPrakas Karat: "আরএসএস সাংস্কৃতিক, সামাজিক ক্ষেত্রে কাজ করে চলেছে" বললেন প্রকাশ

Prakas Karat: “আরএসএস সাংস্কৃতিক, সামাজিক ক্ষেত্রে কাজ করে চলেছে” বললেন প্রকাশ

বিজেপি, আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়াই শুধু ভোটে, মুখ খুললেন প্রকাশ কারাত

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

আমরা বিজেপি, আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলি…কিন্তু শুধুমাত্র ভোটের সময়। আরএসএস সাংস্কৃতিক, সামাজিক ক্ষেত্রে কাজ করে চলেছে। কিন্তু, আমরা কোথায় সেখানে? ২৪-তম পার্টি কংগ্রেসের ঠিক মুখে এক সাক্ষাৎকারে এই ভাষাতেই গেরুয়া বিরোধী আন্দোলনের অন্তঃসারশূন্যতা ও নিজেরই দলের কার্যকলাপ নিয়ে মুখ খুললেন বর্তমানে সিপিএম পলিটব্যুরোর অন্তর্বর্তী সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত।

আগামী ২-৬ এপ্রিল তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে হতে চলেছে কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া মার্কসবাদীর সর্বভারতীয় কংগ্রেস। সাক্ষাৎকারে কারাত সাম্প্রতিক অতীতে দলের সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেছেন। এমনকী লোকসভা ভোটের আগে গঠিত বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটের উপরও আলোকপাত করেছেন। সময়ে সময়ে দলের অবস্থানগত পরিবর্তন ও নির্বাচনী ভবিষ্যৎও তাঁর পর্যালোচনায় উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন: তীব্র দাবদাহেই খুশির ইদ, তিন জেলায় বইবে লু

তিনি বলেন, পলিটব্যুরোর অনেক সদস্যই বয়োবৃদ্ধ হয়ে গিয়েছেন। তাঁদের দল কার্যভারের থেকে মুক্তি দেবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা হবে পার্টি কংগ্রেসে। তবে পলিটব্যুরোতে আসার মতো নতুন ও যোগ্য নেতার অভাব নেই। এমনকী বর্তমানের অনেককে দল অব্যাহতি দিলেও শিক্ষিত-মেধাবী, যোগ্য নেতার খরা দেখা দেবে না। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিপিএমের আন্দোলন কেবলমাত্র ভোটভিত্তিক হয়ে থাকা উচিত নয়।

তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সিপিএম স্বীকার করে নিয়েছে যে, তাদের গণভিত্তি এবং ভোটশক্তি বৃদ্ধি হয়নি। এ সম্পর্কে আপনার মত কী? জবাবে কারাত বলেন, পার্টি কংগ্রেসে এই বিষয়টিই বিস্তারিতে আলোচিত হবে যে কীভাবে সিপিএম নিজের শক্তিতে উঠে দাঁড়াতে পারে। দলের রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি সবই জনতা। কিন্তু, আমাদের নিজস্ব শক্তি সেভাবে বিকশিত হতে পারেনি। এর জন্য কিছু কারণ ও বিষয়কে আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। তাই আলোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

পার্টি কংগ্রেসের মূল এজেন্ডাই হল রাজনৈতিক প্রস্তাব। মূল বিষয়ই হল আমরা কোন রাজনৈতিক কৌশলগত রূপরেখা গ্রহণ করব ভবিষ্যতে। যে খসড়া প্রস্তাবটি প্রকাশিত হয়েছে তা পরীক্ষা করা হবে। যে যে সংশোধনীর প্রস্তাব এসেছে, তা বিচার করা হবে। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, সাংগঠনিক রিপোর্ট। গত তিন বছরের কার্যাবলির ফলাফল নিয়ে আলোচনা হবে কংগ্রেসে।

ইন্ডিয়া জোট ও দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সঙ্গে যাওয়া নিয়ে কারাত বলেন, আমাদের বরাবরের লক্ষ্য ছিল আরএসএস এবং বিজেপির বিরুদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধ লড়াই করা। দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে ইন্ডিয়া জোট গড়ে উঠেছিল ভোটের আগে। কিন্তু কর্তৃত্ববাদী মোদী সরকারকে সম্পূর্ণ পরাস্ত করতে না পারলেও আমরা আংশিক সাফল্য পেয়েছি। কারণ এই জোট গড়ে ওঠায় মোদীর বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য যদি নির্বাচনই হয়, তাহলে বলতে পারি সেটা কোনও লক্ষ্যই নয়। তাই সিপিএমকে নিজের শক্তিতে এই হিন্দুত্ববাদী শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

আরও পড়ুন: ‘গা বাঁচিয়ে আর কতদিন চলবেন?’, কেলগ কাণ্ডে কল্যাণের পর এবার সরব দেবাংশু

কারাতের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ২০১১-য় বাংলায় বিধানসভা ভোটে সিপিএম ধরাশায়ী হওয়ার পর ভারতীয় রাজনীতিতে বাম রাজনীতি ও সিপিএমের প্রভাব পুরোপুরি মুছে গিয়েছে। আপনার ধারণা কী? উত্তরে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ বা ত্রিপুরায় দলের হারানো সম্মান পুনরুদ্ধার করাই কেবলমাত্র সিপিএমের লক্ষ্য নয়। বরং আমরা গোটা দেশে কীভাবে এগিয়ে যেতে পারব তার একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে চাই। সেই সাংগঠনিক প্রক্রিয়াই হবে দলীয় কংগ্রেসে। আমাদের লক্ষ্য, দলের ভিত ও নিজস্ব শক্তিকে ফিরে পাওয়া।

দলের খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে নিরন্তর তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে, যেখানে দ্বিদলীয় রাজনীতির চাপে সিপিএমকে মুছে দিতে চায় তারা। এমনটা কেন হচ্ছে? কারাতের জবাব, অন্য রাজ্যের মতো বাংলায় সিপিএম কেবলমাত্র বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে না। সেখানে টিএমসির বিরুদ্ধেও লড়াই চলছে। ওরা কমিউনিস্ট-বিরোধী দল, যারা আমাদের দমিয়ে রাখতে চায়। তৃণমূল চাইছে, বাংলায় শুধু তারা আর বিরোধী শক্তি হিসেবে বিজেপি রয়েছে। ওদের লক্ষ্য হল বামদের খতম করা। আমাদের বিশ্লেষণ হল, ওরা একসঙ্গে মিলে বামেদের মুছে দিতে চায় রাজ্য থেকে।

কারণ ব্যাখ্যা করে কারাত আরও বলেন, ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অতীতে বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। ওরা কখনও ধারাবাহিকভাবে আরএসএসের হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরোধী নয়। ওরা বিজেপির বিরোধিতা করছে বাংলার বিশাল মুসলিম সংখ্যালঘুদের ভোটব্যাঙ্কের জন্য। ওদের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র ভোটকেন্দ্রিক। যারা বিজেপিকে ভয় পায়, তারা তৃণমূলের সমর্থক। আর যারা তৃণমূলের উপর বিরক্ত, তারা বিজেপিতে যাচ্ছে। সে কারণে বাংলায় দলকে পুনর্গঠনের প্রয়োজন আছে।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন