Thursday, 1 May, 2025
1 May, 2025
Homeউত্তরবঙ্গCooch Behar: পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় দু’বছরেই বন্ধ স্প্যানিশ কোর্স! কেন?

Cooch Behar: পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় দু’বছরেই বন্ধ স্প্যানিশ কোর্স! কেন?

কোর্সটি বন্ধ হয়ে গেলেও কোর্সটি চালু করা নিয়ে ফের কর্তৃপক্ষ কেন সদিচ্ছা প্রকাশ করল না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

সৌমেন দত্ত, কোচবিহার:

পড়ুয়ার অভাব তো ছিলই। নেই বিভাগীয় অধ্যাপকও। অগত্যা বন্ধ হয়ে গিয়েছে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্প্যানিশ কোর্স। এর আগে প্রথম দুটি ব্যাচে ওই কোর্সটিতে ছাত্র থাকলেও পরবর্তীতে ছাত্রসংখ্যা নেমে আসে দশজনের নীচে। তাই ছাত্রের অভাবে গত দু’বছর থেকে বন্ধ হয়ে রয়েছে কোর্সটি। এদিকে চালু হওয়ার পর কোর্সটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবদুল কাদের সাফেলি জানিয়েছেন, কোর্সটি পড়ানোর রিসোর্স পার্সন নেই। তিনি বলেন, ‘কর্মসমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল কোনও সার্টিফিকেট কোর্সে যদি ১০ জনের কম পড়ুয়া হয়, তাহলে কোর্সটি বন্ধ হয়ে যাবে। ওই কোর্সে পড়ুয়া সেভাবে হচ্ছিল না। সেজন্য ওটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’

আরও পড়ুন: শুধু অশান্তির আশঙ্কা নয়, উপদ্রব পকেটমারদেরও! বাংলাদেশে ঘোরা নিয়ে সতর্কবার্তা জারি আমেরিকার

কোর্সটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পিছনে কর্তৃপক্ষের প্রচারের অভাবকে দায়ী করছে পড়ুয়াদের একাংশ। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, উপাচার্য না থাকাতেই কি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পরিস্থিতি? এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন সংস্কৃত কোর্স বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর বঙ্গবার্তায় প্রকাশিত হয়েছিল। এবার স্প্যানিশ কোর্সটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা প্রকাশিত হতেই ক্ষুব্ধ পড়ুয়া থেকে শুরু করে ছাত্র নেতারাও। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উত্তম ঘোষ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কোর্সগুলি চালু হলেও সেই ধারা আজ বজায় রাখতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। জেলায় বসে বিদেশি ভাষা শেখার সুযোগ পেয়ে ভেবেছিলাম কোর্সটি করব। কিন্তু কাকতালীয়ভাবে কোর্সটি বন্ধ হওয়ায় আমরা বিদেশি ভাষা শেখা থেকে বঞ্চিত হলাম।’

বছর তিনেক আগে কর্মসমিতির বৈঠকে পাশ হওয়ার পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় মাসের সার্টিফিকেট কোর্সটি চালু হয়েছিল। উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কোনও পড়ুয়াই এই কোর্সটিতে পড়ার সুযোগ পেতেন। একটি ব্যাচে ৩০ জন পড়ুয়া ভর্তি হতে পারতেন। সেসময় অনলাইনে বাইরের অধ্যাপকদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায় ক্লাস নিতেন। প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা দিতে এমনকি অনলাইন ক্লাসের জন্য তখন নিয়ে আসা হয়েছিল বিদেশিনীদের। কিন্তু তারপর কোর্সটি বন্ধ হয়ে গেলেও কোর্সটি চালু করা নিয়ে ফের কর্তৃপক্ষ কেন সদিচ্ছা প্রকাশ করল না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুন: সোমবারের নবান্ন অভিযান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত ‘বঞ্চিত’ চাকরিপ্রার্থী ও চাকরিজীবীদের মঞ্চের! জানানো হল পুলিশকে

যে কোনও কোর্স চালু করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বোর্ড অফ স্টাডিজ তৈরি করতে হয়। পাশাপাশি কিনতে হয় বইপত্রও। জেলার একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে স্প্যানিশ কোর্স চালু করতে সেসময় দিল্লি থেকে বইপত্র আনা হয়েছিল গ্রন্থাগারে। কিন্তু তারপর কেন কোর্সটি আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া গেল না, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। কোর্সটি চালু করার দাবি তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জয়ন্ত রায়। তাঁর কথায়, ‘কোনও কোর্স চালু হওয়ার পর তা বন্ধ হয়ে যাওয়াটা দুঃখের। এটা মেনে নেওয়া যায় না। কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।’

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন