পহেলগামে জঙ্গিদের গুলিতে ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর পর এখন ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে মদত দেওয়ার অভিযোগে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করেছে নয়াদিল্লি। ভারত-পাক এই দ্বন্দ্বের প্রহরে পাঠানকোটে পাকিস্তানি সেনার হাতে গ্রেফতার হলেন বাংলারই এক ছেলে। তাঁর বাড়ি রিষড়ার হরিসভায়।
আরও পড়ুন: ‘কু*ত্তে, কামি*নে, হা**রামজাদে’, পাকিস্তান ও জ*ঙ্গি*দের তুলোধনা ওয়াইসির
রিষড়ার বাসিন্দা পূর্ণম কুমার সাউ বিএসএফের জওয়ান। পঞ্জাবে পাঠানকোটে বিএসএফের ২৪ নম্বর বাটালিয়নে রয়েছেন পূর্ণম। পাঠানকোটের একাংশ ভারতে অন্য অংশ পাকিস্তানে। সেই সীমান্ত প্রহরার কাজেই পাঠানকোটের ফিরোজগঞ্জ বর্ডারে মোতায়েন ছিলেন তিনি।”
তাঁর স্ত্রী রজনী সাউ এদিন বঙ্গবার্তাকে জানিয়েছেন, পরশু রাতেও স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছিল। কিন্তু আজ তাঁর স্বামীর সহকর্মী তাঁকে ফোন করে জানান, পাক সেনার হাতে গ্রেফতার হয়েছে পূর্ণম।
রজনী আরও জানান, গতকাল বর্ডারে পাহা়ড়া দেওয়ার সময়ে পূর্ণমের শরীর খারাপ লাগে। তাই একটা গাছের ছায়ায় কিছুক্ষণ বসেছিল। ওই এলাকায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া নেই। গাছের ছায়ায় জিরিয়ে নেওয়ার সময়ে তাঁর চোখ লেগে আসে। তার পর চোখ খুলে দেখেন তাঁকে ঘিরে রয়েছে পাকিস্তানি সেনা। পূর্ণমের সহকর্মীরা তা দূর থেকে দেখতে পান। কিন্তু তাঁদের তখন আর করার কিছু ছিল না। পাক সেনা তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
ভারতের সীমান্তে যেমন বিএসএফ পাহারা দেয়, পাকিস্তানের দিয়ে রয়েছে রেঞ্জার্স। আসলে তারাই গ্রেফতার করেছে পূর্ণমকে। এ ঘটনার খবর পেয়েই রিষড়ার পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েছে। ছেলেকে নিয়ে অনিশ্চয়তা ও আশঙ্কায় মুষড়ে প়ড়েছেন তাঁর মা জয়ন্তী সাউ ও বাবা ভোলানাথ সাউ।
বঙ্গবার্তাকে ভোলানাথ এদিন বলেন, “আমরা চাই সরকারের তরফ থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলা হোক। আমার ছেলে নির্দোষ। সীমান্ত পাহারা দিতে গিয়ে দেশের কাজ করতে গিয়ে গ্রেফতার করেছে। আমরা চাই, ও দেশে ফিরুক। নইলে ওঁর সাত বছরের ছেলে, স্ত্রী সবাই অসহায় বোধ করছে”।