Sunday, 3 August, 2025
3 August, 25
Homeউত্তরবঙ্গSiliguri: শিলিগুড়ি শহরে বিজ্ঞাপনে থাকবে কিউআর কোড

Siliguri: শিলিগুড়ি শহরে বিজ্ঞাপনে থাকবে কিউআর কোড

ইতিমধ্যে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে সমস্ত অবৈধ ফ্লেক্স, ব্যানার খুলে নিচ্ছেন পুরকর্মীরা। বিভিন্ন ওয়ার্ড ধরে ধরে সপ্তাহে একদিন করে পুরকর্মীরা অবৈধ হোর্ডিং বাজেয়াপ্ত করার কাজে নামছেন।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:

অবৈধ ব্যানার, ফ্লেক্স এবং হোর্ডিংয়ে মুখ ঢেকেছে শিলিগুড়ি শহর । পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার ব্যানার-ফ্লেক্সে বা হোর্ডিংয়ে কিউআর কোড লাগানোর কথা ভাবছে শিলিগুড়ি পুরনিগম। ইতিমধ্যে বোর্ড মিটিংয়ে পেশ করে বিষয়টি পাশ করানো হয়েছে। প্রত্যেক বিজ্ঞাপনদাতাকে হোর্ডিং, ব্যানার কিংবা ফ্লেক্সে বসাতে হবে তথ্য সংবলিত কিউআর কোড। এসব লাগানোর কোনও অনুমতি রয়েছে কি না, থাকলে কবে সেই অনুমতি নেওয়া হয়েছে, কোন দপ্তর অনুমতি দিয়েছে, কোন সংস্থার বিজ্ঞাপন, কতদিন থাকবে সেই সমস্ত তথ্য মিলবে ওই কিউআর কোড স্ক্যান করলেই।

আরও পড়ুন: বাম-বিজেপির অন্দরে ‘রক্তক্ষরণ’, রাতারাতি দলছাড়া সহস্র; হাতে তুলল ঘাসফুল

ইতিমধ্যে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে সমস্ত অবৈধ ফ্লেক্স, ব্যানার খুলে নিচ্ছেন পুরকর্মীরা। বিভিন্ন ওয়ার্ড ধরে ধরে সপ্তাহে একদিন করে পুরকর্মীরা অবৈধ হোর্ডিং বাজেয়াপ্ত করার কাজে নামছেন। শিলিগুড়ি পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারের বক্তব্য, ‘এখন থেকে যে কোনও বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়ে কিউআর কোড রাখা আবশ্যিক করা হচ্ছে। বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থাগুলির সঙ্গেও আমরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি।’

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে বহরমপুরে চলল গুলি! বেধড়র মারধর তৃণমূল নেতাদের

দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন উড়ালপুল থেকে সফদর হাসমি চকের দিকে নামার সময় সোজা তাকালে আগে নীল পাহাড় চোখে পড়ত। কিন্তু বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়ের আড়ালে এখন সেই পাহাড়ও মুখ ঢেকেছে। উড়ালপুল থেকে নামতে হলে এখন বড় বড় বিভিন্ন সংস্থার বিজ্ঞাপন নজরে পড়ে। একই পরিস্থিতি হিলকার্ট রোড, বর্ধমান রোড, সেবক রোড এলাকাতেও। শহরের বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায়ও সীমানা প্রাচীরের গায়ে, বিদ্যুতের খুঁটিতে কিংবা গাছের মধ্যে হোর্ডিং, ব্যানার, ফ্লেক্স লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কে লাগাচ্ছে, কারা লাগাচ্ছে, অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না, সরকারকে কর দেওয়া হয়েছে কি না সেই বিষয়ে কোনও তথ্যই থাকে না পুরনিগমের কাছে। দিনের পর দিন বিজ্ঞাপনগুলি শহরে দৃশ্য দূষণেরও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সম্প্রতি পুরনিগম মেয়র পারিষদদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরেই বোর্ড মিটিংয়ে প্রস্তাব আকারে পেশ করে পাশ করিয়ে নেওয়া হয়। খুব শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করা হবে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলিকে কাজ করতে হবে বলে পুরনিগমের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে ব্যানারে কিংবা হোর্ডিংয়ে কিউআর কোড থাকবে না সেগুলি পুরনিগমের পক্ষ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন