Saturday, 2 August, 2025
2 August, 25
Homeদক্ষিণবঙ্গDigha Jagannath Temple: উধাও লেখা ‘জগন্নাথ ধাম’! কৌতূহল দিঘায়

Digha Jagannath Temple: উধাও লেখা ‘জগন্নাথ ধাম’! কৌতূহল দিঘায়

মন্দিরের ঠিক পাশে ডান দিতে জাতীয় সড়কের উপর ইংরেজি হরফে ‘জগন্নাথ ধাম’ লেখা নীল রঙের সেই বড় কাঠামো নজরও কেড়েছিল অনেকের। সেই কাঠামো এখন উধাও!

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের দিনও তা ছিল। মন্দিরের ঠিক পাশে ডান দিতে জাতীয় সড়কের উপর ইংরেজি হরফে ‘জগন্নাথ ধাম’ লেখা নীল রঙের সেই বড় কাঠামো নজরও কেড়েছিল অনেকের। সেই কাঠামো এখন উধাও! যা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে দিঘায়। প্রশ্ন উঠছে, যে জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে এত উন্মাদনা, সেই মন্দিরের পাশ থেকে কেন এ রকম ‘সুদৃশ্য’ কাঠামো সরিয়ে নেওয়া হল?

আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি শহরে বিজ্ঞাপনে থাকবে কিউআর কোড

দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে কেন ‘ধাম’ বলা হচ্ছে, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিতর্ক চলছে। অনেকেরই মতে, নানা অভিধান অনুসারে, ধামের অর্থ হল তীর্থস্থান বা আবাস। আবাস সাধারণ মানুষেরও হতে পারে। যেমন, মাতৃধাম। আবার দেবতার নামেও হতে পারে। যেমন, গোলোকধাম। কিন্তু তীর্থস্থান হতে গেলে দেবতা বা মহাপুরুষের লীলা বা অধিষ্ঠান ক্ষেত্র হতে হবে। এক সংস্কৃতজ্ঞ জানাচ্ছেন, ধাম কথার অর্থ তেজ, জ্যোতিও হয়। জয়তি কনকঃ ধামা কৃষ্ণ চৈতন্য নামে। তাঁর ব্যাখ্যা, তেজোদীপ্ত কেউ জন্ম গ্রহণ করলে কিংবা প্রতিষ্ঠা করলে সেটা ধাম হতে পারে। নবদ্বীপে চৈতন্যদেবের জন্ম। তাই সেটি ধাম। ফলে এই সংজ্ঞায় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে ধাম বলা যায় না।

আবার পাল্টা অভিমতও রয়েছে, কারও কারও মত, ধামন্ শব্দ থেকে ধাম শব্দটি এসেছে। তীর্থক্ষেত্র ছাড়াও ধাম গড়ে উঠতে পারে। যদি দিঘায় বিশেষ কিছু কর্ম হয়ে থাকে এবং অনেক মানুষের আগমন ঘটে, তা হলে মহাপ্রভুর মন্দিরকে ধাম বলতে আপত্তি নেই।

তবে বিতর্ক থেকেই গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই ‘জগন্নাথ ধাম’ লেখা কাঠামো মন্দিরের পাশ থেকে সরতেই এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। তার ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: বাম-বিজেপির অন্দরে ‘রক্তক্ষরণ’, রাতারাতি দলছাড়া সহস্র; হাতে তুলল ঘাসফুল

যদিও স্থানীয় প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বিতর্কের কারণে ওই কাঠামো সরানো হয়নি। সেটি অস্থায়ী কাঠামো ছিল। উদ্বোধনের পর দিনই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রামনগরের (দিঘায় রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রেরই অন্তর্গত) বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, ‘‘মন্দির উদ্বোধনের সময়েই ওই অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। উদ্বোধনের পর দিনই তা সরিয়ে ফেলা হয়। এর পিছনে আর অন্য কোনও কারণ নেই। পাশে চৈতন্যদ্বারের নির্মাণকাজ চলছে। তা শেষ হলে আবার ওই রকম কাঠামো বসানো হবে।’’

একই কথা বলেছেন দিঘার মন্দিরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসকন কলকাতার সহ-সভাপতি রাধারমণ দাসও। তিনি বলেন, ‘‘ওটা ফুটপাথে ছিল। এখন নয়, অনুষ্ঠানের পর দিনই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন