Friday, 12 September, 2025
12 September
বাংলা কাউন্টডাউন টাইমার
বঙ্গবার্তা
HomeকলকাতাKolkata: ফিটনেস ছাড়াই ছুটছে বাস, ক্রমে শহরে বাড়ছে দুর্ঘটনা

Kolkata: ফিটনেস ছাড়াই ছুটছে বাস, ক্রমে শহরে বাড়ছে দুর্ঘটনা

বাসের মালিকদের একাংশের সিএফ করাতে অনীহা রয়েছে—এমনটাই দাবি পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের স্যালাইন কাণ্ডে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নাসরিন খাতুন। গত ১২ জানুয়ারি থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ মে, রবিবার রাত ১১টা নাগাদ নাসরিনের মৃত্যু হয়েছে। আজ, সোমবার দেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে এসএসকেএম হাসপাতালেই। নাসরিনের জামাইবাবু ইনসান আলি সোমবার সকালে বলেন, ‘দিন দশেক আগেই জেনারেল বেডে দিয়েছিলেন। ১০ মে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। ৯ মে রাত থেকে ফের খিঁচুনি ও বমি শুরু হয়। ১১ মে, রবিবার রাতে চিকিৎসকরা জানান, ও আর নেই।’

ফিটনেস ছাড়াই রাজপথে দেদার চলছে যাত্রিবাহী বাস! মাসখানেক আগে হাওড়া–ধর্মতলা রুটের একটি বেসরকারি বাস রবীন্দ্র সদনের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে ধাক্কা মারে সামনের একটি গাড়ি ও ম্যাটাডরে। ধাক্কা লাগার পরেও থামেনি বাসটি। ফুটপাথের রেলিং ভেঙে উঠে যায় সেটি।

আরও পড়ুন: ভারত নয়, আমেরিকাকে ‘ব্ল্যাকমেইল’! যুদ্ধ আটকাল পাকিস্তান

ওই দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দু’মাস আগেই বাসটি সিএফ (ফিটনেস টেস্ট) ফেল করেছে। শুধু ওই বাসটিই নয়, পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় যে বাস চলে, তার মধ্যে ৯ শতাংশই চলছে সিএফ ছাড়াই।

অর্থাৎ, ওই বাসগুলিতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। শহর কলকাতায় এখন সারা দিনে বেসরকারি বাসে চড়েন সাড়ে তিন হাজারের বেশি যাত্রী। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর হুঁশিয়ারি, ‘বাস মালিকদের বলব, নিয়ম মেনে গাড়ি চালান। কারণ, মানুষের জীবনের থেকে বড় কিছু নয়।’

সম্প্রতি দুর্ঘটনার কবলে পড়া একাধিক বাসের সিএফ ফেল করার বিষয়টি নজরে এসেছে লালবাজারে ট্র্যাফিক বিভাগের অফিসারদের। এরপরেই এ বিষয়ে কড়া নজরদারির নির্দেশ সব ট্র্যাফিক গার্ডকে দেওয়া হয়েছে। পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, বাসের আট বছর বয়স পর্যন্ত চার বার সিএফ করাতে হয়।

মূলত বাসের ব্রেক, চাকা, স্টিংয়ারিং থেকে শুরু করে অন্যান্য যন্ত্রাংশ ঠিকমতো কাজ করছে কি না সেটাই দেখা হয় এই পরীক্ষায়। বাসের বয়স আট বছর পেরোলেই বছরে একবার করে সিএফ আবশ্যিক। সিএফের খরচ ৮৪০ টাকা। তবে, সিএফ করাতে পলিউশন পাশ সার্টিফিকেট, ট্যাক্স এবং বিমা থাকতে হয়। না হলে সিএফের আবেদন করা যায় না। এ সব কিছু করে সিএফ করাতে যাওয়া বেশ খরচাসাপেক্ষ।

আরও পড়ুন: চাঁদের আলোয় ঝলমলে ‘মুনলাইট টি’

সে কারণেই বাসের মালিকদের একাংশের সিএফ করাতে অনীহা রয়েছে—এমনটাই দাবি পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের। এই প্রবণতায় যেমন যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি থাকছে, তেমনই কোনও দুর্ঘটনার কবলে বাসটি পড়লে যাত্রী বা বাসের মালিকই— কেউই ক্ষতিপূরণ বাবদ কোনও টাকা পাবে না বলেই জানাচ্ছেন পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকরা।

সিএফ ছাড়াই যে শহরের রাস্তায় কিছু বাস ছুটছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন অল বেঙ্গল বাস ও মিনিবাস সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সবাই সিএফ না করে ব্যবসা করেন এমন নয়। কিছু মালিক আছেন যাঁদের এই প্রবণতা রয়েছে। এটা আসলে গাফিলতি ছাড়া কিছুই নয়।’

কী বলছেন বাসের মালিকরা?

নাগেরবাজার–সায়েন্সসিটি রুটের বাসের মালিক গৌরাঙ্গ সাহার বক্তব্য, ‘সিএফ করানোর আগে বিমা, পলিউশন এবং ট্যাক্স বাবদ অনেক টাকা দিতে হয়। তা ছাড়া, কারণে–অকারণে পুলিশের জরিমানা তো আছেই। যে ভাবে লোকসানের বহর বাড়ছে, তাতে এত কিছু সময়ে করা সম্ভব হয় না।’

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন