দিঘার জগন্নাথ মন্দির বিতর্কের জল গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে। দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। মামলাকারী কৌস্তভ বাগচীর আবেদন, ট্রাস্টে অনুদান দিলে, সেই ঠিকানা দেখানো হচ্ছে হিডকো অফিসের। প্রশ্ন, সরকার কি মন্দির করতে পারে? তাহলে অনুদান দিলে আয়কর ছাড়ের কথা বলা হচ্ছে? এ বিষয়ে তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের। আদালত মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, নবান্নে বসেই সাংবাদিক বৈঠকে দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঠন করার কথা বলেছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডই। ক্যাবিনেটের বৈঠকে ওই ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের বিষয়টি পাশও করানো হয় । মুখ্যসচিবের নেতৃত্ব মোট ১১ জন অফিসার, ইসকন, কালীঘাট মন্দির, পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশনের একজন করে প্রতিনিধি-সহ মোট ২৭ জনের ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: বাড়েনি বেতন, অসন্তোষ নিগমে, অনিশ্চয়তায় কনডাক্টররা
কিন্তু কীভাবে কোনও সরকার মন্দির তৈরি করতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। সে প্রশ্ন বিজেপির পাশাপাশি তুলেছিলেন সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও। এবার এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। তাঁর বক্তব্য, ভারতের সংবিধান তো কাউকে মন্দির তৈরির নির্দেশ দেয়নি, তাহলে সরকার কীভাবে সরকারি টাকায় মন্দির তৈরি করতে পারে? ১৯ তারিখের আগেই এই মামলা তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।