‘পহেলগাম শুধু পর্যটকদের, যে দেশ থেকেই মানুষ এখানে আসবেন তাঁদের সবাইকে স্বাগত। যে কোনও সমস্যায় আগে আমরা বুক চিতিয়ে দাঁড়াব।’- কাশ্মীরের মাটিতে হওয়া তিরঙ্গা যাত্রা থেকে বার্তা দিলেন স্থানীয় মানুষ। কাশ্মীর ভারতের অংশ, স্পষ্ট কথা তাঁদের।
আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বের নতুন পথ বানাচ্ছে ভারত বাংলাদেশকে এড়িয়ে মায়ানমারের রাখাইনের বন্দর দিয়েই
২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে পাকিস্তানি জঙ্গিহামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন। তাঁদের বেশি বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। নৃশংস ওই হামলা থেকে মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে এক স্থানীয় ঘোড়াচালকও জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) মাধ্যমে তার কড়া জবাব দেয় ভারত। সেই সাফল্য উদযাপনে তিরঙ্গা যাত্রায় মাতেন কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ।
সর্বভারতীয় এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পহেলগামের স্থানীয় পোনিওয়ালা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল ওয়াহিদ ওয়ানি জানান, ‘এই তিরঙ্গা যাত্রা, পহেলগামে কাপুরুষের মতো নৃশংস হামলার জবাব। কাশ্মীর ভারতের অংশ। এই র্যালির মাধ্যমে আমরা পর্যটকদের আমন্ত্রণ জানাতে চাই। বলতে চাই, আগে আমরা এখানে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আপনাদের ওপর কোনও আঁচ আসার আগে আমরা সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়াব।’ আবদুল সেখানে জঙ্গিদের উদ্দেশেও বার্তা ছুড়ে দেন। জানান, ‘পহেলগাম আপনাদের নয়। পহেলগাম ভারতের মানুষের, সমস্ত স্থানীয় মানুষের, নানা দেশ-বিদেশের মানুষের।’
আরও পড়ুন: নিখিল বঙ্গ মহিলা সংঘের কলকাতা জেলার উদ্যোগে আয়জিত হলো এক কর্মীসভা
অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধূলিসাৎ করেছে বলে জানিয়েছে ভারত। তাতে খুশি কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ এমনটাই জানালেন আবদুল ওয়াহিদ ওয়ানি। তিনি বলেন, ‘আমাদের শত্রুদের যে জবাব দেওয়া হয়েছে তাতে আমরা খুশি। যাঁরা আমাদের খুশি ছিনিয়ে নিয়েছে, আমাদের নানা সমস্যার মুখে ঠেলে দিয়েছে- তাঁদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা হোক।
পহেলগামের ওই হামলার পর কার্যত ধুঁকছে কাশ্মীরের পর্যটন শিল্প। রুটিরুজিতে টান পড়ছে মানুষের। কিছুটা ছন্দে আসতে শুরু করলেও আগের স্বাভাবিক অবস্থা তাড়াতাড়ি ফিরে আসুক এমনটাই চাইছেন কাশ্মীরের স্থানীয় মানুষ।