কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
ট্রাফিক পোস্টের ভিতরে ঢুকে বাইক চালকের সঙ্গে ঘুষ নিয়েল দর কষাকষি। শেষে হাত পেতে নিলেন কড়কড়ে নোট। আর সেই ছবি ভাইরাল হতেই অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেন পুলিশ সুপার। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কানু রায় নামে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে ইতিমধ্যেই কাজ থেকে বরাখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে কর্তব্যরত এক এএসআই-কে ক্লোজ করলেন পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে।
আরও পড়ুন: ওস্তাদের মার! ভারত পিঠে চেপে বছরে প্রায় ১৫৭ কোটি ডলারের ব্যবসা, সব বন্ধ
কানু রায় নামে ওই যুবক দীর্ঘ দিন থেকেই জলপাইগুড়ি সদর ট্রাফিক পুলিশে সিভিক ভলেন্টিয়ারের কাজ করছেন। শুক্রবারও তাঁর ডিউটি পড়েছিল শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে। চেক হচ্ছিল বাইক। ডিউটি চলাকালীন এক বাইক চালকের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় তাঁকে আটকান। অভিযোগ কাগজ দেখাতে না পারায় ফাইনের ঊর্ধ্বে উঠে ঘুষ চেয়ে বসেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। বাইক চালকের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা ঘুষ নেন। ইতিমধ্যেই টাকা নেওয়ার সেই ভিডিয়ো ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে। তাতেই প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। অনেকেই বলছেন এ ছবি শুধু জলপাইগুড়ির নয়, রাজ্যের দিকে দিকে চোখ-কান খোলা রেখে রাস্তায় নামলেই এই ঘুষের ‘ছবি’ দেখা যায়। এ ব্যাপারে আম-আদমির বড় অংশের উদাসীনতা যেমন রয়েছে, তেমনই পুলিশের একাংশের কর্তব্যে গাফিলতির মাত্রাও দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এই আবহে ঘুষের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয় অভিযুক্ত সিভিকের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: শুক্লা যোগের সঙ্গে রবি যোগ, রবিবারে দিনটা এই সব রাশির জন্য অত্যন্ত উদ্বেগ জনক হতে চলেছে
ভাইরাল ভিডিয়ো পুলিশ কর্তাদের নজরে আসতেই শনিবার অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার কানু রায়কে কাজ থেকে বরখাস্ত করে দেয় জলপাইগুড়ি সদর ট্রাফিক পুলিশ। পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়াকে কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে৷ অন্যদিকে ট্রাফিক পোস্টে থাকা পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।