কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
পণ্য এবং পরিষেবা বাবদ সারা দেশে একটাই কর ব্যবস্থা চালু করেছে কেন্দ্র। যার পোশাকি নাম জিএসটি(GST)। এবার এই জিএসটি নিয়েই বড় প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা।
মঙ্গলবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন ডাবগ্রামের ভিডিওকন গ্রাউন্ডের সরকারি সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শিল্পপতিদের কাছ থেকে মিউটেশন ফি নেওয়া হচ্ছে, রাস্তায় গাড়ি চললেও ট্যাক্স নেওয়া হয় ,এগুলো আর নেওয়া যাবে না। আমরা বরদাস্ত করব না।”
এই গাইশাল স্টেশনেই ১৯৯৯ সালের ১ অগাস্ট অবধ অসম এক্সপ্রেসের সঙ্গে ব্রহ্মপুত্র মেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বাংলায় অন্যতম বড় এই ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অন্তত ৩০০ জনের।
আরও পড়ুন: গাইশালে শিলিগুড়ি-মালদা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, ছড়াল আতঙ্ক
এরপরই মোদী সরকারকে নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ কথা, “যেকোনও একটা ট্যাক্স রাখতে হবে, দুটো ট্যাক্স একসঙ্গে হতে পারে না। আর কত টাকা চাই?”
জবাবও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। বলেছেন, “কেন্দ্রের কাছ থেকে আমরা ১লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা পায়। সেই টাকা তো দেয় না, উল্টে জিএসটির নাম করে সব নিয়ে যায়, সেই টাকাটাও আমরা ঠিকমতো পাই না। আবার শিল্পপতিদের কাছ থেকে কর বাবদ অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে।”
এর বিরুদ্ধে শীঘ্রই যে দিল্লিকে রাজ্য চিঠি পাঠাবে তা সোমবার শিলিগুড়ির দীনবন্ধুমঞ্চে উত্তরবঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে স্পষ্ট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই সভায় একাংশ ব্যবসায়ী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জিএসটি-টোলট্যাক্স আদায়ে হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন।
উত্তর দিনাজপুরের ব্যবসায়ী শঙ্কর কুণ্ডু সভায় মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, টোলট্যাক্স, জিএসটি সহ বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্সের নামে ব্যবসায়ীদের হয়রান করা হচ্ছে। এতে শিল্পে পরিবহণ খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এভাবে সরকার জুলুম করে শিল্পায়ন এগোবে কী করে?
সভাস্থলে বসেই এ ব্যাপারে মুখ্যসচিবকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এও বলেছিলেন, প্রয়োজনে এ ব্যাপারে দিল্লিকে চিঠি পাঠাবে রাজ্য। এবার ওই প্রসঙ্গেই মঙ্গলবার সরকারি সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, “জিএসটির পর ফের নতুন ট্যাক্স নিতে পারবে না কেন্দ্র। এভাবে শিল্পপতিদের হয়রানি রাজ্য বরদাস্ত করবে না।”