কলকাতার আকাশে রহস্যময় ড্রোন। সূত্রের খবর, মহেশতলা ও বেহালার দিক থেকে সাতটি রহস্যময় ড্রোন আসতে দেখা গিয়েছে। আশপাশে দ্বিতীয় হুগলি সেতু ও ফোর্ট উইলিয়ামের মতো জায়গা রয়েছে। দুই রাষ্ট্রের যেখানে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি, সেখানে এই ড্রোন ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই রহস্য দানা বেঁধেছে।
আরও পড়ুন: পর্দা ফাঁস করতে জাপান যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
ময়দানের বিস্তীর্ণ এলাকা সেনার অধীনে। সেক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গেও কথা বলছে। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎই মহেশতলা ও বেহালার দিক থেকে দেখা গিয়েছে, আকাশে অদ্ভুূতজন আলো! সাধারণত এই আলো আকাশে দেখতে পাওয়া যায় না। সেনার নজরে পড়ে বিষয়টি।
কলকাতা পুলিশের কর্তব্যরত আধিকারিক লালবাজার কন্ট্রোলে ফোন করেন। লালবাজার থেকে নির্দিষ্ট করে বেশ কিছু থানাকে জানানো হয়। তারপর থানার আধিকারিকরা বিষয়টি দেখার চেষ্টা করেন। রাতে দৃশ্যমানতা কম থাকায়, বিষয়টি স্পষ্ট নয়। ড্রোনের গতিতেই বস্তগুলো ঘুরপাক খাচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। বহুতলের পিছন থেকে চলে গিয়েছে আলো। ওইগুলো আদৌ ড্রোন নাকি অন্য কিছু, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছে কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফটোগ্রাফির আড়ালে মেয়েদের অশ্লীল ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল!
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্তা কর্নেল রাজেন্দ্র ভাদুড়ি বলেন, “ড্রোনগুলি কী ধরনের ড্রোন, তার রেঞ্জ কীরকম,সেটা দেখতে পারে। হতে পারে বাংলাদেশ থেকে ড্রোনগুলি এসে থাকতে পারে, এখন অবশ্য এই নিয়ে জল্পনা করে লাভ নেই। যদি সার্ভিলেন্স ড্রোন হয়, তাহলে চিন্তার বিষয় রয়েছে।”
অন্যদিকে, প্রাক্তন এনএসজি কর্তা দীপাঞ্জন চক্রবর্তীর মতে, “আমাদের পশ্চিম প্রান্তের সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব প্রান্তেও অশান্তি দানা বাঁধছে। বিভিন্ন ধরনের গুজব রটছে। এইগুলো ভারত সরকারের এজেন্সি নজর রাখছে। এর সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশকে সক্রিয় থাকতে হবে। তবে আমি জানি না বাংলাদেশের এখনই ওতো ড্রোন ওড়ানোর দুঃসাহস হবে কিনা, কারণ পাকিস্তানকে দেখে শিক্ষাটা তো হয়েছে…”