বিশ্বের কাছে ভাল সাজার নাটক, পাকিস্তানের অমানবিক মুখ সামনে এল আরও একবার। ঝড়ে বেসামাল হয়ে গিয়েছিল ইন্ডিগোর বিমান, তবুও নিজেদের এয়ারস্পেস বা আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিল না পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ইউনুস, জানালেন নাহিদ, ‘নাটক’ বলে সন্দেহ বিরোধীদের
পাকিস্তানের অমানবিকতার পর্দাফাস হয়ে গেল আরও একবার। কী হয়েছিল? বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লি থেকে শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ইন্ডিগোর 6E2142 বিমান। মাঝ আকাশে যখন অমৃতসরের উপরে বিমান, হঠাৎ বদলে যায় আবহাওয়া। শুরু হয় ঝড়, সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। হাওয়ার বেগ এতটাই বেশি ছিল যে বিমানের ভারসাম্য ধরে রাখাও কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। বেসামাল হয়ে যেকোনও মুহূর্তেই বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, যাত্রীদের রক্ষা করতেই পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢোকার অনুমতি চেয়েছিলেন ইন্ডিগোর পাইলট। লাহোর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, কিন্তু পাকিস্তান সাফ না করে দেয়।
আরও পড়ুন: সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ইডি, সংবিধানেরও তোয়াক্কা করছে না! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কড়া ধমক
বাধ্য হয়েই ওই ঝড়-ঝঞ্চার মধ্যেই ২২৭ জন যাত্রীদের নিয়ে নির্ধারিত পথেই এগোয় বিমান। শিলাবৃষ্টিতে বিমানের সামনের ছুঁচলো অংশ ভেঙে যায়। ওই অবস্থাতেও বিমানের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে শ্রীনগরে পৌঁছয় বিমানটি। পাইলটের দক্ষতায় কোনওমতে শ্রীনগরে সুরক্ষিতভাবে অবতরণ করানো হয় বিমান। যাত্রীরা কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরেন।
ইন্ডিগোর এই বিমানেই ছিলেন তৃণমূলের ৫ প্রতিনিধিও। জম্মু-কাশ্মীর সফরে গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাগরিকা ঘোষ, নাদিমুল হক, মানস ভুঁইয়া ও মমতা বালা ঠাকুর। তাঁরাও ওই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখে পড়েন। সাগরিকা ঘোষ সেই অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত আবহেই দুই দেশ একে অপরের জন্য এয়ারস্পেস বন্ধ করেছিল। বর্তমানে সংঘর্ষবিরতি থাকলেও, পাকিস্তান তাদের এয়ারস্পেস ব্যবহার করতে দিল না।