কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
আবার বন্যা পরিস্থিতি উত্তর সিকিমে। শুক্রবার রাতভর বৃষ্টিতে প্লাবিত তিস্তা। ধসের কবলে একের পর এক এলাকা। এই পরিস্থিতিতে উত্তর সিকিমের জন্য নির্দেশিকা জারি করল সরকার। বিশেষ সতর্কতা জারি হয়েছে উত্তর সিকিমে যাতায়াতে। একই সঙ্গে শনিবার থেকে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এখনও ‘বাঘে’র দাপট অব্যহত! নিজে না গিয়ে বোলপুর SDPO অফিসে ৫ আইনজীবী
স্থানীয় সূত্রে খবর, উত্তর সিকিমের বিভিন্ন জায়গা ধসের কবলে পড়েছে। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। টুং চেকপোস্টের কাছে ধস নামার ফলে সেখানকার রাস্তা বন্ধ। অতি ভারী বৃষ্টিতে সিকিমের সাত মাইলের মধ্যে নামচি জেলার লেগশিপ ও কিউজিংয়ের মাঝে ধস নেমেছিল। সেখানে একটি তেলবোঝাই গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বৃষ্টির জন্য উত্তর সিকিমের ফিদাং গ্রাম প্রায় বন্যাকবলিত। তিস্তার নিম্নস্তরে জল ক্রমশ বাড়ছে।
সিকিম সরকারের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, উত্তর সিকিমের মঙ্গন জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সমস্ত দফতরকে প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিস্তা প্লাবিত হওয়ার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ডিকচু, সিংথামের মতো এলাকা। তিস্তা সংলগ্ন বাসিন্দাদের জন্য জারি করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর। তিস্তা সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের অন্যত্র সরিয়ে আনার জন্য সমস্ত দফতরকে সতর্ক করছে সিকিম সরকার। অন্য দিকে, তিস্তার ‘ভয়ঙ্কর’ পরিস্থিতির কারণে ব্যাঘাত ঘটছে নিখোঁজ পর্যটকদের উদ্ধারকাজে।
আরও পড়ুন: বৌদির কাটামুন্ডু হাতে হেঁটে চলেছে… এক হাতে কাটারি, হাড়হিম করা দৃশ্য বাসন্তীতে
গত বৃহস্পতিবার উত্তর সিকিমের চুংথাং থেকে মুন্সিথাং যাওয়ার রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পর্যটকদের একটি গাড়ি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি প্রায় ১০০০ ফুট নীচে তিস্তা নদীতে পড়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়িটিতে ১১ জন ছিলেন। তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং ত্রিপুরার বাসিন্দা। এক জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। জখম অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু বাকিদের খোঁজ মেলেনি।