কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
পাঁচ মাসের কন্যা সন্তানকে মেরে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে। শনিবার ভোরে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি থানার মাধবডাঙা-১ গ্রামপঞ্চায়েতের শ্রীলঙ্কা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘটনার সময় ওই মহিলার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। পেশায় দিনমজুর স্বামী মলিন রায় রাতে কাজে বেরিয়েছিলেন। সকালে বাড়ি ফিরে ডাকাডাকি করলেও স্ত্রী সাড়া দেননি। এর পর দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন মলিন। যে দৃশ্য দেখেন, তা শিউরে ওঠার মতো। মৃত অবস্থায় পড়ে আছে ছোট্ট সন্তান। স্ত্রীও পড়ে আছেন মেঝেতে। গলা এবং হাতের শিরা কাটা।
আরও পড়ুন: দুধ এত মহার্ঘ? প্রতি লিটার দুধের দাম ৫০০০ টাকা!
সঙ্গে সঙ্গে মলিন চিৎকার চেঁচামেচি করে এলাকার লোকজনকে ডাকেন। তাঁরা এসে দু’জনকে উদ্ধার করেন। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ এসে শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি পাঠায়। গুরুতর অবস্থায় থাকা মলিনের স্ত্রী মৌমিতা রায়কে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগে মৌমিতা ও মলিনের বিয়ে হয়। বাড়ির অমতে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। মলিনের পরিবার এই বিয়ে মেনে নেয়নি। এর পর স্ত্রীকে নিয়ে কাকার বাড়িতে গিয়ে ওঠেন মলিন। পাঁচ মাস আগে সন্তানের জন্ম দেন। সংসারে কোনও সমস্যার কথা কখনও শোনেননি বলে জানান এলাকার লোকজন।
আরও পড়ুন: অমিত শাহকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের তিন কন্যা; চাইলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ
স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দীপা রায় জানান, এই ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার। সত্যিই কি মৌমিতা তাঁর সন্তানকে খুন করে নিজে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও ঘটনা রয়েছে, তাও জানা দরকার। ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ জানান, কোনও লিখিত অভিযোগ তাঁদের কাছে আসেনি। তবে পুলিশের তরফে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।