Sunday, 3 August, 2025
3 August, 25
HomeদেশAhmedabad Plane Crash: নির্মাণে গাফিলতি! এক বছর আগেই সতর্ক করেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার

Ahmedabad Plane Crash: নির্মাণে গাফিলতি! এক বছর আগেই সতর্ক করেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার

৭৮৭-র পাশাপাশি ৭৭৭ মডেলেও একই সমস্যা রয়েছে। তাঁর দাবি, ১০০০-এরও বেশি ড্রিমলাইনার এই ত্রুটির শিকার।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

আমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা আরও একবার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। এক বছর আগেই বোয়িং সংস্থার এক ইঞ্জিনিয়ার স্যাম সালেহপুর অভিযোগ করেছিলেন, যে ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানের ফিউজেলাজ জোড়ার সময় শর্টকাট নিয়েছিল আমেরিকান এয়ারক্রাফট নির্মাণকারী সংস্থা। তিনি সতর্ক করেছিলেন, এই ভুল পদ্ধতির কারণে বিমানের কাঠামো দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং বহুবার উড়ানের পরে মাঝ আকাশেই ভেঙে পড়তে পারে বিমান। ঠিক তার এক বছরের মধ্যেই ঘটে গেল ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

বৃহস্পতিবার আমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ানের কিছু পরেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১ বিমানটি। বোয়িং ৭৮৭-৮ মডেলের এই ড্রিমলাইনারে ছিলেন ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু। ঘটনাস্থলেই অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা।এই দুর্ঘটনার তদন্ত করছে ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন। যদিও এখনও পর্যন্ত ওই ইঞ্জিনিয়ারের অভিযোগের সঙ্গে দুর্ঘটনার কোনও সরাসরি যোগ খুঁজে পাওয়া যায়নি, তবে স্বাভাবিকভাবেই ফের বোয়িং ৭৮৭-এর নির্মাণ ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

আরও পড়ুন: আজ হচ্ছে টা কি! বিমান ভেঙে পড়ার কয়েক ঘণ্টা পরই বড় বিপদ এড়াল রেল

স্যাম সালেহপুর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এফএএ-কে জানান, ৭৮৭ বিমানের বিভিন্ন অংশ জোড়ার সময় অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করা হয়, এরফলে সময়ের সঙ্গে বিমানের কাঠামো দুর্বল হয়ে যেতে পারে, যা বিপজ্জনক। এমনকী কর্মীদের বিমানের পাখার অংশের উপর লাফিয়ে-ঝাঁপিয়ে জোড়া লাগাতেও দেখা গেছে বলে দাবি করেন তিনি।

স্যামের অভিযোগ অনুযায়ী, ৭৮৭-র পাশাপাশি ৭৭৭ মডেলেও একই সমস্যা রয়েছে। তাঁর দাবি, ১০০০-এরও বেশি ড্রিমলাইনার এই ত্রুটির শিকার। বোয়িং অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা ইতিমধ্যেই এই সমস্যাগুলির সমাধান করেছে এবং বিমানগুলি উড়ানের জন্য একেবারেই নিরাপদ। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালেও ফিউজেলাজ গ্যাপের কারণে বোয়িং ৭৮৭-এর ডেলিভারি প্রায় দুই বছর বন্ধ রেখেছিল এফএএ। এর আগেও বোয়িংয়ের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। ২০১৯-২০২০ সালে ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের দুটি দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় ৩৪৬ জনের। ২০২৪ সালে ৭৩৭ ম্যাক্স ৯-এর দরজা মাঝআকাশে খুলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে।

এই পরিস্থিতিতে বোয়িং ৭৮৭ দুর্ঘটনার তদন্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সারা বিশ্ব। যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে আরও কড়াকড়ি এবং স্বচ্ছতা দরকার বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন: Air India-র প্রোফাইল হল কালো; মৃত্যু মিছিলে বড় কথা শোনাল Tata-রা

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর ১.১৭ নাগাদ আমদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেয় এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, উড়ানের সময় বিমানের পিছনের অংশের সঙ্গে ধাক্কা লাগে গাছের। এরপরই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

বিমানে মোট ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডিয়ান যাত্রী। বিমানে মোট ১১ জন শিশু থাকার খবরও পাওয়া গিয়েছে। বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি বিবৃতি জারি করা হয়নি।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন