Tuesday, 29 July, 2025
29 July, 25
HomeদেশNarendra Modi: উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী! ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা মোদীর

Narendra Modi: উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী! ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা মোদীর

প্রতি ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার চেষ্টা করেছে ভারত।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

আমেরিকার হামলার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সঙ্গে কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে একথা জানালেন তিনি নিজেই। রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের আহ্বান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: সংঘাতে জড়িয়েছে আমেরিকা; বেড়ে যাবে তেলের দাম রাত পোহালেই

ইরান ও ইজরায়েলের সংঘর্ষের মধ্যেই হস্তক্ষেপ করেছে আমেরিকা। রবিবার ইরানের তিনটি পারমাণবিক ঘাঁটিতে হামলা করেছে আমেরিকা। ইরান ‘শান্ত’ নয়া হলে আরও বড় হামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এরপরই ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। অবিলম্বে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছি।’ 

রবিবার ইরান ও ইজরায়েল সংঘর্ষ দশম দিনে পড়ল। সময় যত এগোচ্ছে, পরিস্থিতি ততই খারাপের দিকে যাচ্ছে। রবিবার ইরানের ফোর্দো, নাতানজ ও ইসফাহানে মার্কিন বোমারু বি-২ হামলা চালায়। এই অভিযানে ব্যবহার করা হয় ‘বাঙ্কার বাস্টার’ নামের বিশেষ ধরনের শক্তিশালী বোমা, যা ভূগর্ভস্থ ঘাঁটিতে ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটায়।

আরও পড়ুন: ‘জীবন এবং কবিতা পরিপূরক আমার কাছে, জানালেন পৃথা সেন

আমেরিকার আক্রমণের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। কড়া বার্তায় জানিয়ে দেয়, এবার তারা শুধু পাল্টা জবাবই দেবে না, প্রয়োজনে বিশ্ব তেল সরবরাহের অন্যতম প্রধান রুট হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেবে। আর এখানেই তৈরি হয়েছে নতুন উদ্বেগের মেঘ-বিশেষ করে ভারতের জন্য।

ভারত সরাসরি ইরান থেকে খুব বেশি তেল না কিনলেও, দেশের মোট চাহিদার ৮৫ শতাংশই আমদানি করতে হয় বিদেশ থেকে। এই তেলের অন্তত ৫০ শতাংশই আসে হরমুজ প্রণালী পেরিয়ে। তাই এই জলপথে কোনও রকম সমস্যা তৈরি হলে তা সরাসরি আঘাত করবে ভারতের জ্বালানি বাজারে এবং বৃহত্তর অর্থনীতিতে। সৌদি আরব, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি—এই সব দেশ থেকেও ভারতের তেলের জোগান হরমুজ প্রণালী হয়ে আসে। ফলে এই পথ বন্ধ হয়ে গেলে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম হঠাৎই লাফিয়ে বাড়তে পারে, যার প্রভাব পড়বে দেশের মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি ও শিল্প উৎপাদনে। এমন এক সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। মোদী শান্তির বার্তা দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধানে জোর দিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী উত্তেজনার আবহে এই কূটনৈতিক পদক্ষেপ ভারতের স্বার্থ রক্ষায় বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।

 

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন