রাজ্যের আইনব্যবস্থাকে যৌনকর্মীদের সঙ্গে তুলনা করে আরও বিপাকে সুকান্ত মজুমদার। বড়তলা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। রবিবার এক যৌনকর্মী বিজেপি রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে…’! ১০টি পথকুকুরকে হত্যার চেষ্টা, মৃত ১
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। ওইদিন ভবানীপুর চত্বরে দফায় দফায় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। সেই সময় মেজাজ হারিয়ে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি কুরুচিকর মন্তব্য করেন বলেই অভিযোগ। শনিবার তৃণমূলের অফিসিয়াল X হ্যান্ডেলে সে সংক্রান্ত একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। ৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি গাড়িতে বসে রয়েছেন সুকান্ত। পুলিশদের লক্ষ্য করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “আপনারা আইনটাকে সোনাগাছির সেক্স ওয়ার্কারে (যৌনকর্মী) পরিণত করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের আইনটা।” কীভাবে একজন জনপ্রতিনিধি এমন মন্তব্য করেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: কলকাতায় গোয়েন্দাদের জালে ৩; কসবায় বসে সিরিয়ায় যোগাযোগ
সুকান্তর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে সুকান্ত কুৎসিত কথা বলছেন। উনি চিৎকার করে অপমান করছেন সোনাগাছির সেক্স ওয়ার্কার বলে। তাঁদের নিম্নমানের দৃষ্টিতে দেখে তিনি রাজনৈতিক তুলনা করে বিকৃত বিবৃতি দিয়েছেন। এই মা-বোনেদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। সোনাগাছির সেক্স ওয়ার্কার মানে বোঝেন? কতটা যন্ত্রণা, অশ্রু, কষ্ট, লড়াই থাকে বোঝেন? পাশাপাশি যদি ধরেন তাঁদের শ্রমের অধিকারের আওয়াজ উঠেছে সর্বত্র। সেখানে সোনাগাছি সেক্স ওয়ার্কারদের কথা বলছেন? আপনি কোন যুগে বাস করেন? মধ্যযুগে? এটা বিজেপির দৃষ্টিভঙ্গি। এরা মা-বোনেদের কুৎসিতভাবে দেখে। একজন বলেছিলেন বীরবাহা হাঁসদা জুতার তলায় থাকা উচিত। এখন সোনাগাছির সেক্স ওয়ার্কারদের অপমান করেছেন। ওঁরা বাধ্য হয়ে একটা পেশায় আছেন। আপনার কোন অধিকার আছে সেই পেশায় থাকা মা-বোনেদের অপমান করার? তাঁদের জীবনযাপন, সংগ্রাম, বঞ্চনা, বৈষম্য থেকে শ্রমিক অধিকার নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা। এটা একটা কী যন্ত্রণার জীবন। সুকান্ত মজুমদারকে সোনাগাছির যৌনকর্মীদের উদ্দেশে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে হবে।” সোশাল মিডিয়ায় খোঁচা দিয়েছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। অনুব্রতর কুমন্তব্যর প্রসঙ্গ তুলে তাঁর খোঁচা, “হে বিজেপি, পোড়া মুখ কত হবে কালো? অনুব্রতে অপরাধ, সুকান্তে ভালো?” তবে এখনও পর্যন্ত সুকান্ত ক্ষমা চাননি।