বৃহস্পতিবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে একটি বড়সড় বাণিজ্যিক চুক্তির ইঙ্গিত দিয়েছেন। কয়েক সপ্তাহ আগে দুই দেশের প্রতিনিধি দল চারদিনব্যাপী ‘ক্লোসড ডোর’ আলোচনায় বসেছিল। হোয়াইট হাউসের ‘Big Beautiful Event’-এ ট্রাম্প বলেন, ভারতের সঙ্গে তাঁর একটি ‘বড় চুক্তি’ হয়েছে।
তাঁর কথায়, ‘সবাই চায় একটা বড় চুক্তির অংশ হতে। কয়েক মাস আগে সংবাদমাধ্যম অনেক প্রশ্ন করছিল। সেই প্রসঙ্গেই বলি, আমরা কালই চিনের সঙ্গে চুক্তিসাক্ষর করেছি। বেশ কিছু বড় চুক্তি করছি। আমাদে আরও একটা চুক্তি হতে চলেছে, হয়তো ভারতের সঙ্গে।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় বলে কথা! মহাকাশেও খাবেন আম-গাজরের হালুয়া
ভারতের সঙ্গে এই জোটবন্ধনকে তিনি ‘ভেরি বিগ ওয়ান’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে আমেরিকা সবার সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তির পথে হাঁটবে না, তা ট্রাম্প জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিটি দেশের সঙ্গে চুক্তি করব না। কিছু দেশে আমরা কেবল চিঠি পাঠিয়ে বলব, ‘ধন্যবাদ, তোমরা ২৫, ৩৫, ৪৫ শতাংশ ট্যাক্স দাও। এটা সহজ উপায়, আর আমরা সেভাবে এগোতে চাই না। তবে বেশি চুক্তির পথে যেতে চাইলে তা করতে হবে। তাই আমি অন্যভাবে এগোতে চাইছি।’
আরও পড়ুন: দুপুর আড়াইটেয় দিঘায় রথের চাকা গড়াবে
সূত্র বলেছে, এই চারদিনব্যাপী আলোচনা মূলত শিল্প ও কৃষি পণ্যের বাজার প্রবেশ, শুল্ক ছাড়, এবং নন-ট্যারিফ বাধা সরানো নিয়েই হয়েছে। আলোচনায় লক্ষ্য ছিল, বর্তমান প্রায় ১৯০ বিলিয়ন ডলার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে ২০৩০ সালের মধ্যে এক বিশাল ৫০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া।
১০ জুন আলোচনার শেষে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীয়ূষ গয়াল বলেছিলেন, ‘ভারত ও আমেরিকা ন্যায্য এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক চুক্তির পথে এগোচ্ছে, যা দুই দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা এবং জনগণের জন্যই লাভজনক হবে। আমরা একটি সুন্দর, ন্যায়সঙ্গত ও সমতা-ভিত্তিক চুক্তি করতে চাই।’ সেই সঙ্গে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফেব্রুয়ারির বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন।
এই মাসের শুরুতে মার্কিন কমার্স সেক্রেটারি হাওয়ার্ড লুটনিকও জানান, ভারত–আমেরিকা ট্রেড ডিল খুব তাড়াতাড়ি চূড়ান্ত হতে পারে, কারণ দুই দেশেরই নিজেদের স্বার্থে মিল রয়েছে।
‘Big Beautiful Bill’ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প জানান, গত বুধবার তিনি চিনের সঙ্গে একটি চুক্তিসাক্ষর করেছেন। যদিও সেই নিয়ে তিনি বিশদে জানাননি, তবে হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, তা মূলত রেয়ার আর্থ শিপমেন্ট দ্রুত করার লক্ষ্য নিয়েই হয়েছে। এছাড়া, দুই দেশ জেনেভা চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য একটি ফ্রেমওয়ার্কে সম্মত হয়েছে। এই চুক্তি এমন এক সময়ে হল, যখন আমেরিকা ও চিনের বাণিজ্য প্রায় বন্ধের মুখে এসে পড়েছিল।