রাজ্য বিজেপির সভাপতি কে হবেন? সেই জল্পনার মধ্যেই নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দিকে আরও এক ধাপ এগোল বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের জন্য নির্বাচন আধিকারিক নিয়োগ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, আরও দুই রাজ্যের জন্যও নির্বাচন আধিকারিক বেছে নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের জন্য সাংসদ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: তুলনা টানা হচ্ছে আরজি কর-কাণ্ডের সঙ্গে! বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিল বিভিন্ন বিরোধী সংগঠন
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যেই বাংলায় আসবেন রবিশঙ্কর। তার পরেই নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজ্য সভাপতি বেছে নেওয়ার কাজ শুরু হবে। সুকান্ত মজুমদারই রাজ্য সভাপতি থাকবেন, না কি অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই ঠিক হবে। রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা নেবেন রবিশঙ্করই। তার পরেই নির্বাচনের মাধ্যমে চূড়ান্ত নাম বেছে নেওয়া হবে।
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও মহারাষ্ট্র এবং উত্তরাখণ্ডে রাজ্য বিজেপির সভাপতি নির্বাচনের জন্য নির্বাচন আধিকারিক ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রের রাজ্য বিজেপির সভাপতি নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এবং হরিয়ানার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হর্ষ মলহোত্র।
আরও পড়ুন: আজ বিকেলবেলায় খেতেই হবে পাঁপড়ভাজা আর জিলিপি! এমন খাওয়ার চল শুরু হল কীভাবে ?
শুধু রাজ্য সভাপতি নির্বাচন নয়, বিজেপির জাতীয় পরিষদে বাংলা থেকে কারা কারা থাকবেন, তা-ও চূড়ান্ত করবেন রবিশঙ্কর। বিজেপিতে সাংগঠনিক কাঠামোয় বদল আনতে হলে বা দলের গঠনতন্ত্রে কোনও পরিবর্তন ঘটাতে গেলে জাতীয় পরিষদ অপরিহার্য। দেশের প্রত্যেক লোকসভা কেন্দ্র থেকে এক জন করে প্রতিনিধি থাকেন এই পরিষদে। তাঁরা সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচন করেন। বাংলা থেকে কোন ৪২ জন জাতীয় পরিষদে থাকবেন, তা-ও ঠিক করার দায়িত্ব রবিশঙ্করের কাঁধে।
বিজেপি সূত্রে খবর, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, উত্তরাখণ্ড-সহ ছ’টি রাজ্যের সভাপতি নির্বাচন সেরে ফেলা হবে। ২৮ জুন থেকে ৬ জুলাইয়ের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষিত হবে বলেও জানা যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, জুলাই মাসেই সর্বভারতীয় সভাপতির নামও চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।