সুপ্রিম কোর্টে ডিএ সংক্রান্ত রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাল রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্ট ৬ সপ্তাহের মধ্যে ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ দিতে বলেছিল। আজ, শুক্রবার সেই সময়সীমা শেষ হলেও রাজ্য সরকারি কর্মীদের ওই মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হল না। তবে এই আবেদনের বিরোধিতা করতে তৈরি সরকারি কর্মীদের যৌথ মঞ্চ।
আরও পড়ুন: চাকরির বিনিময়ে সহবাস, বিস্ফোরক অভিযোগ কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে
এই মামলায় সরকারি কর্মীদের তরফে মামলায় সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। এদিন রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আবেদনের পর ফিরদৌস শামিম বলেন, “পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালেই যে তা গৃহীত হবে এমন কোনও কথা নেই। যেহেতু সময়কাল পেরিয়ে গিয়েচে, তাই আদালত অবমাননার মামলার নোটিস পাঠিয়েছি অর্থসচিব ও মুখ্যসচিবকে। ডিএ দিতেই হবে।”
আইনজীবী এদিন স্পষ্ট বলেন, ডিএ হল বেতনের অংশ। বাজেট করার সময় সেই হিসেব করতে হয়। তাঁর দাবি, রাজ্য সবদিকে খরচ করছে, আর সরকারি কর্মীদের ডিএ-র কথা বলা হলেই বলছে, কোমর ভেঙে যাচ্ছে। তাঁর মতে, এভাবে কর্মীদের ডিএ থেকে বঞ্চিত করার অর্থ বেতন হ্রাস করা। কারণ মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে বেতনের সামঞ্জস্য রাখতেই ডিএ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: দায়িত্বে রবিশঙ্কর প্রসাদ, সভাপতি নির্বাচনের ডঙ্কা বেজে গেল রাজ্য বিজেপিতে
মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের আন্দোলন দীর্ঘদিনের। শেষ পর্যন্ত আদালত ৬ সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। রাজ্যের আর কোনও যুক্তি না শুনেই, শীর্ষ আদালত স্পষ্ট বলেছিল, বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ দিতেই হবে। আশা দেখেছিলেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শুক্রবার রাজ্য আরও ৬ মাস সময় চেয়ে আবেদন জানিয়েছে।