কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও মাধ্যমিকে নজরকাড়া সাফল্য ধূপগুড়ির যমজ দুই বোনের। একজন ফার্স্ট ডিভিশন ও একজন সেকেন্ড ডিভিশন নিয়ে পাশ করেছে। পারমিতা বসাক ও সুস্মিতা বসাক। ধূপগুড়ি গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী দুইজনেই। পাস হওয়ার কথা শুনেই লাফিয়ে ওঠে। আর বলতে শোনা যায় স্কুলে যাব আমরা। জানা গেছে দুজনেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পারমিশন নিয়ে রাইটার নিয়ে পরীক্ষায় বসেছিল।
আরও পড়ুন: ৫০০ বোতল মদ উদ্ধার! বাইরে মুদির দোকান, ভিতরে মদের বোতল
এদিকে সুস্মিতা বসাক তার প্রাপ্ত নম্বর(৪২৯) তার একজন রাইটার ছিল। পারমিতা বসাক তার প্রাপ্ত নম্বর( ৩৬৯) রাইটার ছিল অন্তরা দাস।। তবে প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও তাদের এই পরীক্ষায় বসার বা পড়াশোনা করার যে আগ্রহ ছিলো সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দারাও তাদের খুব আদর করতো। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ছেলে মেয়ে প্রতিবন্ধী হলে তাদের পড়াশুনা করাতে চায় না অভিভাবকরা। সেই ভুল ভাঙিয়ে দিল এই দুই বোন। মাধ্যমিকে দুজনেই পাস করার কথা শুনে আনন্দে লাফিয়ে ওঠে। আর বলতে থাকে আমরা আবার স্কুলে যাব। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে পরিবারে তাদের বাবা-মা এক দিদি, ও দুই দাদা রয়েছে। এর মধ্যে এক দিদি ও দাদা স্বাভাবিক থাকলেও এক দাদা ও তারা জমজ দুই বোন প্রতিবন্ধী। আমাদের পক্ষ থেকেও রইল তাদের এই সাফল্যে দুই বোনকে শুভেচ্ছা। এ বিষয়ে প্রতিবেশীরা কি বলছেন শোনাবো আপনাদের।
আরও পড়ুন: চাপে নায়ক! কঙ্গনার ল্যাপটপে হৃতিকের নগ্ন ছবি
তবে আশ্চর্যজনক ঘটনা পারমিতা বসাক তার রাইটার অন্তরা দাস নবম শ্রেণীর ছাত্রী, কিছুদিন আগে নিজের পরীক্ষা শেষ করে পারমিতা বসাকের হয়ে রাইটার ছিলেন। মা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে গঠিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে ধূপগুড়ি বালিকা বিদ্যালয়ে রাধুনীর কাজ করে মা। তারই দুই মানসিক ও শারীরিকভাবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যমজ মেয়ের মাধ্যমিকে সাফল্যে খুশি সকলে।