কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
একাধিক দেশ ও রাজ্য দিয়ে ঘেরা শিলিগুড়িতে অপরাধ দমনে কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তার আর্জি জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠাবেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব।
গত এক-দেড় মাস ধরে শিলিগুড়িতে ডাকাতি, এটিএম লুট-সহ একের পর এক অপরাধের ঘটনা ঘটছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, অপরাধীরা ভিন রাজ্য থেকে এসেছেন। অপরাধ ঘটানোর পরে প্রতিবেশী রাজ্য অথবা দেশে পালিয়ে গিয়েছেন।
আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। কিন্তু অপরাধ দমনে কেন্দ্রীয় সরকারের নানা এজেন্সি শিলিগুড়িতে সক্রিয়। অথচ সেই সমস্ত এজেন্সি শহরে এই ধরনের অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে মুখে কুলুপ এঁটে থাকে।
দুষ্কৃতীদের আনাগোনার ঘটনায় নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করে। তাই মেয়র মনে করেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির শিলিগুড়িতে অপরাধ দমনে সক্রিয় থাকা উচিত। হাতে কোনও তথ্য এলে সেটা রাজ্য পুলিশকে জানানো উচিত। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে তথ্য আদানপ্রদানের একটি প্রক্রিয়া চালু করা দরকার।
আরও পড়ুন: ভূতের মুখে রামনাম! মাসুদ আজাহারকে প্রত্যর্পণে রাজি’ পাকিস্তান
গৌতম বলেন, ‘শিলিগুড়ি থেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিহার, সিকিম এবং অসমের মতো প্রতিবেশী রাজ্যে যাওয়া যায়। পাশাপাশি নেপাল, বাংলাদেশ এবং ভুটানের মতো প্রতিবেশী দেশ রয়েছে।
অপরাধের পরে ৩০ মিনিট হাতে পেলেই দুষ্কৃতীরা প্রতিবেশী দেশে ঢুকে যেতে পারেন। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদানের ব্যবস্থা থাকলে পুলিশ দ্রুত দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এ ব্যাপারে আমার অভিমত জানাব।’
আরও পড়ুন: চোখ কপালে বাসিন্দাদের! ক্যানেলের জলে মহিলার দেহ
তিনি জানান, অপরাধ দমনে এখন গোটা দেশে রাজ্যগুলির মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি কেবলমাত্র দেশবিরোধী কার্যকলাপ নজরে এলেই তথ্য আদানপ্রদান করে।
অথচ সীমান্ত এলাকায় অপরাধের পরে দুষ্কৃতীরা অনায়াসে প্রতিবেশী দেশে গা ঢাকা দেয়। মেয়রের কথায়, ‘আইন-শৃঙ্খলা পুরসভার বিষয় নয়। কিন্তু ভুক্তভোগী আমাদের শহরের বাসিন্দারা। সীমান্তে তাহলে বিএসএফ কী করছে, সেই প্রশ্ন ওঠা কি সঙ্গত নয়! আমার কাছে কিছু তথ্য রয়েছে। সেগুলিই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে পরামর্শ চাইব।’