Monday, 7 July, 2025
7 July, 2025
Homeউত্তরবঙ্গSiliguri: বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, পুলিশ ছুঁলে…! জানা নেই স্বর্ণ ব্যবসায়ী শেখ...

Siliguri: বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, পুলিশ ছুঁলে…! জানা নেই স্বর্ণ ব্যবসায়ী শেখ জামিল হুসেনের

পরিস্থিতির বদল ঘটে শিলিগুড়ি থানার আইসি প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, খালপাড়া ফাঁড়ির ওসি সুদীপ দত্ত সহ অন্য পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:

বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা। পুলিশ ছুঁলে…!  না, জানা নেই স্বর্ণ ব্যবসায়ী শেখ জামিল হুসেনের। ফলে তাঁর ভবিষ্যৎ পরিণতি কী হতে পারে, তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না তিনি। তবে এতটুকু টের পাচ্ছেন, না ভাবিয়া কাজ করার মাশুল তাঁকে দিতে হবে অচিরেই।

আরও পড়ুন: ফের এনআরসি আতঙ্ক! নোটিস পেলেন কোচবিহারের বাসিন্দা

কিন্তু শিলিগুড়ির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের টিউমলপাড়ার ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কেন মাশুল গুনতে হবে? স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে দোকান খোলার পরই তাঁর দোকানে চুরি হয়েছে অভিযোগ তুলে সরব হন শেখ জামিল।  দোকানের সর্বস্ব চুরি হয়েছে, অভিযোগ তোলার পাশাপাশি দুষ্কৃতীরা কোথা দিয়ে ঢুকেছে, তা বোঝাতে সিলিংয়ের একটি ভাঙা অংশ দেখান। তিনি যে সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এনেছেন, তাতে একজনকে দোকানের ভিতরে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। গয়না সাজানোর জায়গায় রাখা বিভিন্ন বাক্স, তারমধ্যে থাকা প্যাকেট ব্যাগে ঢোকাতেও দেখেছেন অনেকে (ফুটেজটি যাচাই করেনি বঙ্গবার্তা )। যেহেতু ক’দিন আগে হিলকার্ট রোডে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, ফলে অনেকেই এদিনের ‘ঘটনা’ নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। কিন্তু পরিস্থিতির বদল ঘটে শিলিগুড়ি থানার আইসি প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, খালপাড়া ফাঁড়ির ওসি সুদীপ দত্ত সহ অন্য পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই। পুলিশ ভল্টের চাবি চাইতেই ভোল বদল ঘটে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর। চাবি দিতে না চাওয়ায় ‘ভল্টের চাবি বাড়িতে আছে’, ‘কোথায় চাবি, বাড়ির কেউ জানে না’, এমন নানান অজুহাত খাড়া করেন তিনি। অবশ্য রক্ষা পাননি। পুলিশি ধমকে স্কুটারের ডিকি খুলে চাবি তুলে দেন পুলিশ আধিকারিকদের হাতে। ভল্ট খুলে পুলিশ দেখে, ভিতরে সোনা ও রুপোর সমস্ত কিছুই রয়েছে অক্ষত। শেখ জামিল তখন বলছেন, ‘দোকানে কোনও সোনা চুরি হয়নি। সব ঠিক রয়েছে। সকালে দোকানে ঢুকে সিলিং ভাঙা দেখে মাথা ঘুরে গিয়েছিল।’ এমনকি, কিছুক্ষণ পর সকালে করা লক্ষাধিক টাকার সোনা চুরির অভিযোগও অস্বীকার করেন। কিন্তু পুলিশ ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। ভল্টে থাকা সোনা কোথা থেকে কেনা হয়েছে, কী ধরনের সোনা রয়েছে, তার নথি কোথায়, নানান প্রশ্ন করেন পুলিশ আধিকারিকরা। সদুত্তর দিতে না পারা শেখ জামিল প্রামাণ্য নথিও দেখাতে পারেননি। রাত পর্যন্ত দেননি সিসিটিভি ফুটেজ। ফলে চুরির অভিযোগ করা শেখ জামিলই এখন পুলিশি তদন্তের আওতায়। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশের ডিসিপি (ইস্ট) রাকেশ সিং বলছেন, ‘চুরির চেষ্টার অভিযোগ নেওয়া হয়েছে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। তবে ওই ব্যবসায়ী সমস্ত সোনা, রুপো ভল্টেই ঢুকিয়ে রেখেছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজ দিতে চাননি। ভল্টের চাবি দিতে চাননি। সোনা কোথা থেকে এসেছে, কী এসেছে, কোনও হিসেব, কাগজ দেখাতে পারেননি। আমরা এই সমস্ত বিষয়ও ওই অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হওয়া তদন্তের মধ্যে রাখব।’ জানা গিয়েছে, রাত পর্যন্ত পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ নিতে পারেনি ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। এরপরেও কেন পুলিশ এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

আরও পড়ুন: ‘সুবিধা বুঝে নয়, সন্ত্রাসের নিন্দা করাই নীতি হওয়া উচিত’, বিশ্বকে বার্তা নমোর

প্রশ্ন রয়েছে শেখ জামিলের ভোল বদল নিয়েও। যেহেতু সোনা বন্ধক রেখে সুদে টাকা খাটান ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী, তাই তিনি ভল্টে থাকা সোনার হিসেব দিতে পারেননি বলে স্থানীয় অনেকেই মনে করছেন। এদিন ঘটনার কথা জানার পরই এলাকায় পৌঁছান কাউন্সিলার বিবেক সিং ও প্রাক্তন কাউন্সিলার তৃণমূল নেতা পরিমল মিত্র। সমস্ত কিছু জানার পর পরিমল বলেন, ‘এভাবে ওই ব্যবসায়ীর ভোল বদল ঘটবে, তা ভাবতে পারিনি।’ বিবেক ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘সবকিছু ভালোমতন দেখার পরেই কিছু বলা উচিত। সকালে এলাকায় হুলুস্থুল পড়ে গিয়েছিল। বাকিটা প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক।’

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন