বর্ধমান থেকেই চলছিল পাকিস্তানের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’। ফেসবুকে ভুয়ো প্রোফাইল খুলে ভারতবিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছিল পড়শি দেশের চর। কিন্তু টিকল না বেশিদিন। দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল বেঙ্গল এসটিএফ বা স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের টিম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উপর শুল্ক সামান্য কমালেন ট্রাম্প, এক রাতেই চিঠি ১৪ রাষ্ট্রনেতাকে
দুই অভিযুক্তের নাম মুকেশ রজক ও রাকেশ কুমার গুপ্ত। এরা দু’জনেই বর্ধমানের মেমারির বাসিন্দা। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেসবুকে এক পাকিস্তানি ভুয়ো প্রোফাইল খুলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে বন্ধুত্ব। এরপর হঠাৎই একদিন ওই দুই যুবকের থেকে ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চেয়ে বসে সেই ‘পাকিস্তানি বন্ধুটি’।
বন্ধুত্বের গাঢ়ত্ব তখন আর কোনও পরিমাপ দেখাচ্ছে না। একেবারে টগবগ করে ফুটছে। আর সেই বন্ধুত্বের খাতিরেই ভারতীয় নম্বরের ওই পাকিস্তানির হাতে তুলে দেয় এই দুই অভিযুক্ত। এরপর সেই নম্বর ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ খোলে সেই পাকিস্তানি। যার জন্য প্রয়োজন পড়ে OTP-র। ‘বন্ধু’ চাইতেই সেটাও দিয়ে মেমারির দুই ধৃত যুবক। এরপর ঘুরে যায় খেলা।
আরও পড়ুন: চারপাশ ধোঁয়া-ধোঁয়া, কোথাও আবার হাঁটুজল
খবর পায় STF। ছুটে যায় বর্ধমানে। গ্রেফতার করে দুই যুবককে। জানা যায়, সেই পাকিস্তানি বন্ধু সাধারণ কেউ নয়। পড়শি দেশের গুপ্তচর সংস্থার ইন্টেলিজেন্স অফিসার। ইতিমধ্যে ধৃতদের ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে STF। পাক চরের সম্পর্কে আরও তথ্য বের করার চেষ্টা করছে তারা। আপাতত সাতদিনের হেফাজতে রয়েছে ওই দুই যুবক।
কিন্তু পাকিস্তানের অন্দরে ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরের এত চাহিদা কেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নম্বরগুলো আসলে চরবৃত্তির কাজে ব্যবহৃত হয়। প্রথমে সাধারণ কোনও ভারতীয় নাগরিকের থেকে সেই ফোন নম্বর জোগাড় করে পাক চরেরা। তারপর মহিলার ভেক ধরে ওই নম্বরগুলি দিয়ে মেসেজ বড় কোনও সরকারি আধিকারিক, সেনা কর্তা কিংবা জওয়ানের কাছে। তাদের হানি ট্র্যাপে ফেলে ভারতের গোপন নথি হাতানোর চেষ্টা করে এই পাক চরগুলি।