ফের ফের সেতু ভেঙে পড়ল গুজরাতে। বুধবার সকালে গুজরাতের বডোদরা জেলায় মহিসাগর নদীর উপর ভেঙে পড়েছে গম্ভীরা সেতু। সে সময় সেতুর উপরে থাকা অন্তত চারটি গাড়ি নদীতে পড়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় তিন জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
আরও পড়ুন: চাঞ্চল্যকর তথ্য! জঙ্গি হামলার ঘটনাতেও ‘AMAZON’ যোগ!
সরকারি সূত্রে খবর, বুধবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ মধ্য গুজরাত এবং সৌরাষ্ট্রের মাঝামাঝি পাডরা-মুজপুর এলাকায় মহিসাগর নদীর উপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে গম্ভীরা সেতু। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, ওই সময় একটি ট্রাক, একটি ভ্যান এবং দু’টি গাড়ি সেতুর উপর দিয়ে নদী পারাপার করছিল। সেতু ভেঙে পড়তেই গাড়িগুলিও উপর থেকে সোজা নদীতে গিয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। এখনও পর্যন্ত চার জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দেহ মিলেছে তিন জনের। তিন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বডোদরার এসপি (গ্রামীণ) রোহন আনন্দ। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
আরও পড়ুন: ৬০০ টাকা রোজ চাই, যাদবপুরের রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে দিল ধর্মঘটীরা
আনন্দ কেন্দ্রের সাংসদ মিতেশ পটেল বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েক জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। বডোদরা এবং আনন্দ, দুই জেলার প্রশাসনিক কর্তারা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন।’’
প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে ২০২২ সালে এই গুজরাতেরই মোরবীতে সেতু ভেঙে পড়ে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর আগে সংস্কারের জন্য প্রায় দু’দশক ধরে বন্ধ ছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি ওই সেতু। পুনর্নিমাণের পর ২০২২ এর অক্টোবরে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় মোরবী। খোলার চার দিনের মাথায় ৩০ অক্টোবর সেতুটি ভেঙে পড়ে। ওই দিন মাচ্ছু নদীর উপরের ঝুলন্ত সেতুটি দেখতে প্রচুর মানুষ হাজির হয়েছিলেন। শুধুমাত্র ভেঙে পড়ার দিনেই নাকি টিকিট বিক্রি হয়েছিল ৩ হাজারেরও বেশি! দুর্ঘটনার সময়েও সেতুর উপর ছিলেন ৩০০ জন। তার মধ্যে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হন আরও অনেকে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, সেতুর সংস্কারে খামতি ছিল। অভিযোগের আঙুল ওঠে নির্মাণকারী সংস্থা এবং মোদী সরকারের দিকেও।বুধবারের সেতু বিপর্যয় ফেরাচ্ছে তিন বছর আগের সেই ঘটনার স্মৃতি।