রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী চান, কোনও বাঙালি যাতে কাশ্মীর না যান! বিজেপি বিধায়কের কথায়, মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীরে না গিয়ে হিন্দু-বাঙালিরা অন্য কোথাও গেলে প্রাণে বাঁচবেন। শুভেন্দুর এই মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতিতে। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা পাল্টা কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন এই ইস্যুতে।
পহেলগাম হামলার পর জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। আদৌ সেখানে পর্যটকরা যাবেন কিনা। কারণ বহু মানুষ ভয় পাচ্ছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। আমজনতা থেকে শুরু করে পর্যটক এবং রাজনৈতিক দলগুলিও কাশ্মীরের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও নানা বার্তা দেওয়া হয়েছে পর্যটন নিয়ে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী যে মন্তব্য করলেন তাতে স্পষ্ট তিনি হয়তো কেন্দ্র বা তাঁর দলের বিরুদ্ধেই গেছেন।
আরও পড়ুন: ১ নভেম্বর থেকে নতুন নিয়ম! কোনও পেট্রোল পাম্পে পাবেন না জ্বালানি
শুভেন্দু এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ”যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বেশি সেখানে কোনও বাঙালির যাওয়া উচিত নয়। একজন বিধায়ক নয়, সচেতন নাগরিক হিসাবে বলছি, কাশ্মীরের বদলে জম্মু যান। হিমাচল প্রদেশে যান। উত্তরাখণ্ডে যান। আগে প্রাণ, তারপর সবকিছু।” স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই মন্তব্যের পর প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে তিনি একটি সম্প্রদায়কে এইভাবে নিশানা করতে পারেন। কীভাবে তিনি কাউকে কোনও জায়গায় যেতে নিষেধ করতে পারেন।
রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানিয়েছেন, ”রাজ্যে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এসেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। প্রত্যেকেই বার্তা দিয়েছেন যে তাঁরা কাশ্মীরের পাশে আছেন। আমি জানি না শুভেন্দু অধিকারীর কী অ্যালার্জি হয়েছে।” শশীর স্পষ্ট কথা, বিজেপির কোনও নেতা বা সরকারও এভাবে রাজ্যবাসীকে কোথাও যাওয়ার বিষয়ে নির্দেশ দিতে পারে না। কোনও ফরমান জারি করতে পারেন না।
আরও পড়ুন: মাথায় হাত! ১০ থেকে ১২ শতাংশ দামি হচ্ছে মোবাইল রিচার্জ প্ল্যান
বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব কাশ্মীরের পর্যটন নিয়ে ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এমনকী রাজ্য বিজেপির সদ্য নিযুক্ত সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যও পর্যটন নিয়ে মুখ খোলেন। তাই শুভেন্দুর এই মন্তব্য ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে যে তিনি দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই মুখ খুললেন কিনা। এই ইস্যুতে অবশ্য শশী পাঁজা বলছেন, এমন প্রশ্ন উঠলে তার জবাব রাজ্যের বিরোধী দলনেতাই দিতে পারবেন। খোঁচা দিয়ে এও বলেন, তাঁর কাছে অবশ্য রাজ্য সরকারের থেকে বাংলাদেশের ইউনুস সরকার ভাল।