কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়ি:
বন্ধুর বাড়িতে চলছিল জন্মদিনের পার্টি। সেখানেই ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে তৃণমূল নেতাকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠেছে আর এক স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ভয়াবহ অভিযোগ উঠল মালদহের লক্ষ্মীপুরে। অভিযোগ, ঘরের ভিতর দীর্ঘক্ষণ ধরে পিটিয়ে, কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাঙালিদের কাশ্মীর যেতে নিষেধ করলেন শুভেন্দু! ‘ফরমান জারি করতে পারেন না’, পাল্টা শশী
মালদহের ইংরেজবাজারের লক্ষ্মীপুরের ঘটনা। মৃত তৃণমূল নেতার নাম আবুল কালাম আজাদ। তাঁর বিরুদ্ধে জোর করে জমি দখল, জাল সার্টিফিকেট বানানো, জাল দলিল বানিয়ে জমি দখল করার মতো অভিযোগও রয়েছে। সম্প্রতি এক জীবিত ব্যক্তি ও তাঁর ছেলেকে ‘মৃত’ দেখিয়ে সাত বিঘার বেশি জমি-বাগান হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
খুনের অভিযোগ উঠেছে, মইনুল শেখের বিরুদ্ধে। মইনুল শেখ একজন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা বলেই পরিচিত। একসময় ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন তিনি। পরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে তৃণমূলে টিকিট না পেয়ে লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের টিকিট পান ও জয়ী হন। পরে ফের তৃণমূলে ফিরে যান তিনি।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি সহ জেলার তাবড় নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে মইনুলের। এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে জমি মাফিয়া হিসেবেও উল্লেখ করে থাকেন। অভিযোগ, নয় বিঘা জমি নিয়ে ও মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বিবাদ ছিল। আজাদ এবং মইনুল একসঙ্গেই জমির ব্যবসা করতেন তিনি। আর সেই বিষয়েই বিবাদের জেরে খুনের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ১ নভেম্বর থেকে নতুন নিয়ম! কোনও পেট্রোল পাম্পে পাবেন না জ্বালানি
তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সী বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। যাঁরা এই খুনের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতেই ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা রজ্জাক খাঁকে গুলি করে, কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। ওই নেতা তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে।