কুশল দাসগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশে আটক হলেন ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁদের ব্যবহৃত দু’টি ট্রলার— ‘এফবি ঝড়’ ও ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’। মৎস্যজীবীরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের মোংলা বন্দরের কাছে। বাংলাদেশের নৌবাহিনীর দাবি, ওই মৎস্যজীবীরা গভীর রাতে আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম করে বাংলাদেশ সীমায় ঢুকে পড়ে মাছ ধরছিলেন। বাংলাদেশি টহলদারি জাহাজের নজরে পড়তেই তৎক্ষণাৎ তাঁদের ধাওয়া করে আটক করা হয়। বর্তমানে দুই ট্রলার ও মৎস্যজীবীদের মোংলা বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ শুরু করেছে বাংলাদেশের মৎস্য ও নৌপরিবহণ বিভাগ।
আরও পড়ুনঃ ‘ম্যায় হু না…’, ফর্মে দিলীপ; মুখ খুললেন ‘কর্মী’ দিলীপ
এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন ধৃত মৎস্যজীবীদের পরিবার। এক মহিলা জানান, “বাংলাদেশ থেকে ফোন করে বলা হয়েছে ওদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপাতত ওরা ভাল আছে বলেছে। কিন্তু বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছি না।” আতঙ্ক ছড়িয়েছে কাকদ্বীপ ও নামখানার উপকূলবর্তী গ্রামগুলিতে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে রাজ্যের মৎস্য দফতর। বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে মৎস্যজীবীদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার জন্য। পাশাপাশি, উপকূলবর্তী এলাকায় মাছ ধরার সময় ট্রলারগুলির জিপিএস ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুনঃ অবিরাম বৃষ্টি; বন্যার ভ্রুকুটি খানাকুলে, আশঙ্কা গ্রামবাসীদের
সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা সতীনাথ পাত্র জানান, “আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। ভারতের ট্রলার যেমন বাংলাদেশের জলে ঢুকেছে, তেমন ওদের ট্রলারও আমাদের জলে এসেছে। আগে বিষয়টিকে বাংলাদেশ এত গুরুত্ব দিত না। এবার বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।”
জলসীমান্তে বারবার এমন ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে। নিরাপত্তা ও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মহল।